TMC on Rahul Gandhi: ‘রাহুলের মন্তব্যে হাসছে কংগ্রেসই’, আঞ্চলিক শক্তি বিতর্কে খোঁচা তৃণমূলের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 16, 2022 | 8:12 PM

Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধী চিন্তন শিবির থেকে দাবি করেন, বিজেপি ছাড়া কংগ্রেসকে কেউ হারাতে পারবে না। বলেন, আঞ্চলিক দলগুলির ক্ষমতা নিয়েও।

TMC on Rahul Gandhi: রাহুলের মন্তব্যে হাসছে কংগ্রেসই, আঞ্চলিক শক্তি বিতর্কে খোঁচা তৃণমূলের
জাগো বাংলায় রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের কাউন্টার।

Follow Us

কলকাতা: রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির থেকে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বার্তা দিয়েছেন, বিজেপি সরকারকে দিল্লির মসনদ থেকে সরাতে পারে একমাত্র কংগ্রেসই (Congress)। বিজেপির বিকল্প শক্তি হিসাবে কেউ যদি থাকে তা একমাত্র কংগ্রেস বলেই দাবি, গান্ধী পরিবারের এই সদস্যর। রাহুলের বক্তব্য, কোনও আঞ্চলিক দলের সেই শক্তিই নেই, যার জোরে বিজেপিকে গদিচ্যুত করা যায়। একমাত্র হাতেই ভরসা রাখতে হবে সেক্ষেত্রে। রাহুলের এই বক্তব্যকে খোঁচা দিয়ে সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় (Jago Bangla)। যার শিরোনাম ‘রাহুলের মন্তব্যে হাসছে কংগ্রেসই’।

রাহুল গান্ধী চিন্তন শিবির থেকে দাবি করেন, বিজেপি ছাড়া কংগ্রেসকে কেউ হারাতে পারবে না। এরই পাল্টা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জাগোয় বাংলায় বলেন, যদি কংগ্রেস বিকল্পই হয়, তা হলে রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের এই হারের কারণ কী? এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপত্রে উঠে এসেছে কেরল, পুদুচেরি, গোয়া ও পঞ্জাবের প্রসঙ্গ। বলা হয়েছে, ‘চার রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে বারবার হেরেছে কংগ্রেস। অমেঠিতে হেরে কেরলে রাহুল গান্ধী সাংসদ হয়েছেন। রাজনৈতিক ট্র্যাডিশন মেনে বামেদের হারিয়ে কংগ্রেসকে কেরলেও ক্ষমতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে।’

চিন্তন বৈঠকে রাহুল গান্ধী তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃতীয় ফ্রন্টকে কংগ্রেস এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না। কংগ্রেসী ভাবাদর্শে হেঁটেই ২০২৪-এ দিল্লির তখ্ত বদলে আশাবাদী ওয়ানাডের এই কংগ্রেস সাংসদ। কংগ্রেসই একমাত্র বিকল্প বোঝাতে গিয়ে রাহুল গান্ধীর যুক্তি দেন, আঞ্চলিক দলগুলির কোনও ভবিষ্যৎ নেই। কোনও মতাদর্শ নেই। তৃণমূলের পাল্টা প্রশ্ন, ‘তাই যদি হয় তা হলে মহারাষ্ট্রে কেন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার তৈরি করতে হচ্ছে? তামিলনাড়ুতে কেন ডিএমকের আশেপাশে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে?’ এ রাজ্যের শাসকদলের মুখপত্রে তীব্র কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেসই এখন আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। সত্যটা স্বীকার করুক নেতৃত্ব।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, “রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের সারমর্ম কারও যদি বোধগম্য না হয় তা হলে রাহুল গান্ধীর তো কিছু করার নেই। এ ধরনের কথা বলা মানে বিজেপি পার্টিকে খুশি করা। রাহুল গান্ধীর বক্তব্য পাবলিক ডোমেনে আছে। রাহুল গান্ধী বলার চেষ্টা করেছেন, কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে বিজেপির বিচারধারার লড়াই। এটা সত্যি। এই আদর্শগত সংঘাত শতাব্দী প্রাচীন।”

পাশাপাশি আঞ্চলিক দল নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে অধীরের বক্তব্য, “আঞ্চলিক দলগুলির এজেন্ডা কী? নিজেদের রাজ্য ও নিজেদের রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেখানকার মানুষকে সংঘবদ্ধ করে টিকে থাকা। বাংলায় কী হয়? বাংলার মেয়েকে চায় বলে প্রচার হয়। বলা হয় কি ভারতের মেয়েকে চায়? এটাই আঞ্চলিক দলের ধরন। আঞ্চলিক দলগুলোকে অবজ্ঞা করা নয়। বলতে চেয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির লড়াই বিচারধারার লড়াই। আদর্শের লড়াই। আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বিজেপির সেই লড়াই নেই। তাই বিজেপি পার্টি আক্রমণ করে কংগ্রেসকে।”

জাগো বাংলার এই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমাদের লড়াই নেই। প্রথম স্থান মানুষ মোদীকে দিয়েছে। তৃণমূল, কংগ্রেসের মধ্যে দ্বিতীয়, তৃতীয়ের লড়াই। তবে এটা পরিষ্কার, আঞ্চলিক দলগুলোর কোনও মতাদর্শ নেই।’

 

Next Article