Jalpaiguri Police Camp: ‘পুলিশ পরম বন্ধু’, ক্যাম্প স্থানান্তরিত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ জলপাইগুড়ি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 01, 2022 | 8:39 AM

Jalpaiguri Police Camp: জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালে ভোটপট্টি বাজার-সহ এই এলাকার মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ময়নাগুড়ি পুলিশের একটি ক্যাম্প বসানো হয় ভোটপট্টি রাইসমিল কোয়াটারে।

Jalpaiguri Police Camp: পুলিশ পরম বন্ধু, ক্যাম্প স্থানান্তরিত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ জলপাইগুড়ি
পুলিশ ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ

Follow Us

জলপাইগুড়ি: পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক ক্ষেত্রেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। নানান অভিযোগ লেগেই থাকে। কিন্তু এবারে ঠিক উলটো ঘটনা ঘটল ময়নাগুড়িতে। পুলিশই ‘পরম বন্ধু’ বলে ভোটপট্টি পুলিশে ক্যাম্প স্থানান্তরিত করা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা পুলিশের ক্যাম্পের সামনেই বিক্ষোভ দেখান। স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা।

ময়নাগুড়ি থানার অধীনে থাকা ভোটপট্টি পুলিশ ক্যাম্প অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখান ময়নাগুড়ি ভোটপট্টি এলাকার কয়েকশো মানুষ। এদিন বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন প্রচুর মহিলাও। নজিরবিহীন এই বিক্ষোভ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ মহলের অন্দরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি থানার অধীনে থাকা এই ভোটপট্টি পুলিশ ক্যাম্পটি রাজারহাট বাজারে স্থানান্তরিত হবে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভে সামিল হন কয়েকশ এলাকাবাসী।

জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালে ভোটপট্টি বাজার-সহ এই এলাকার মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ময়নাগুড়ি পুলিশের একটি ক্যাম্প বসানো হয় ভোটপট্টি রাইসমিল কোয়াটারে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এই কোয়াটার মেরামত না হওয়ায়, থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে একজন এএসআই-সহ মোট ৭ জন কনস্টেবল থাকেন এখানে। তাঁরা ক্যাম্পের মেরামতের আবেদন করেছেন। তাই এই ক্যাম্পটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে এমন খবর পেয়ে প্রতিবাদে সামিল হন এলাকার মানুষ।

আন্দোলনকারী লিপি নন্দ সরকার বলেন, “এই পুলিশ ক্যাম্প আসার আগে এখানে অনেক বাজে ঘটনা ঘটত। কিন্তু এই ক্যাম্প বসায় এখন সেইসব বন্ধ। এই ক্যাম্পকে এখন কোনও একজনের ইচ্ছায় এখান থেকে সরানো হচ্ছে। আমরা সব জানি। এটা হতে দেব না। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”

স্থানীয় বাসিন্দা খোকন চক্রবর্তী বলেন, “দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে এখানে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। আমরা তাঁদের এখান থেকে যেতে দেব না। যেই বিল্ডিংয়ে ওঁর রয়েছেন তার কিছু বেহাল অবস্থা আমরা দেখলাম। আমরাই চাঁদা তুলে দুই একদিনের মধ্যে বিল্ডিং মেরামত করে দেব। কিন্তু ক্যাম্প এখান থেকে যেতে দেব না। প্রয়োজনে আমরা এলাকা স্তব্ধ করে দেব।”

এবিষয়ে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Next Article