কলকাতা : চিনার পার্কের গেস্ট হাউসে ঝাড়খণ্ডের প্রতারণা চক্রের (cheating gang) জাল। গোপন সূত্রে সেই খবর এসেছিল বাগুইআটি থানার পুলিশের কাছে। আচমকা সেখানে হানা দিতেই ছুরি নিয়ে পুলিশের উপর হামলা দুষ্কৃতীদের। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। মুহূর্তেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দুই দুষ্কৃতীর। পুলিশের (Police) জালে ধরা পড়ল আফতাব মল্লিক সরথ নামে এক দুষ্কৃতী। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বাড়ি দেওঘরে।
বেশ কয়েকদিন ধরে চিনার পার্কের ওই গেস্ট হাউসে থাকছিলেন কয়েকজন যুবক। তাঁদের কাছে রয়েছে প্রচুর মোবাইল, সিম কার্ড, এটিএম কার্ড, পাস বুক। চলছে প্রতারণার চক্র। মজুত হচ্ছে রাশি রাশি টাকা। আগেই গোপন সূত্রে এই খবর এসেছিল পুলিশের কাছে। তারপর থেকেই সেখানে হানা দেওয়ার ছক কষছিল পুলিশ। অবশেষে এদিন গেস্ট হাউসের ১০১ নম্বর রুমে হানা দেয় বাগুইআটি থানার পুলিশ। তবে দরজা ছিল ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষে ধাক্কা মেরে দরজা লক ভেঙে ফেলা হয়। ততক্ষণে ঘরের মধ্যে ওত পেতে বসে দুষ্কৃতীর দল। ঘরে ঢুকতেই তাঁরা চড়াও হয় পুলিশের দলের উপর। শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। ছুরি দিয়েও হামলা করা হয় পুলিশ কর্মীদের উপর। এরইমধ্যে সুযোগ বুঝে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। কিন্তু, একজন পালাতে না পেরে ঢুকে যায় রান্নাঘরে। সেখান থেকে একটি ছুরি নিয়ে হামলা চালাতে যায় পুলিশকে লক্ষ্য করে। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
গোটা গেস্ট হাউস ততক্ষেণে ঘিরে ফেলেছে বাগুইআটি থানায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় আফতাব নামের ওই দুষ্কৃতীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর মোবাইল। উদ্ধার হয় প্রচুর সিম কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবুক, এটিএম কার্ড, ব্যাঙ্কের জাল নথি সহ একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস। ধৃত আফতাবের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, প্রতারণা, সরকারি নথি জাল, পুলিশের কাজে বাধা দান, মারধর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিনই তাঁকে বারাসাত আদালতে তোলে হলে তার সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।