Jiban Krishna Saha: বিধায়ক ছেলে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন! জীবনকৃষ্ণের বাবার অভিযোগ শুনল না হাইকোর্ট

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 13, 2023 | 4:14 PM

Jiban Krishna Saha: বিশ্বনাথের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদের কান্দিতে যে বাড়িতে থাকেন জীবনকৃষ্ণ, সেটি আদতে তাঁর। পেশায় ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ। তিনি দাবি করেছিলেন, কান্দিতে তিনি ব্যবসার কাজের সুবিধার জন্য একটি বাড়ি করেছিলেন।

Jiban Krishna Saha: বিধায়ক ছেলে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন! জীবনকৃষ্ণের বাবার অভিযোগ শুনল না হাইকোর্ট
জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর বাবা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হতে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ করেছিলেন বিধায়কের বাবা স্বয়ং। কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়ে একটি মামলাও করেন তিনি। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু এই মামলা শুনলেন না বিচারপতি। উল্টে তা ফেরত পাঠালেন নিম্ন আদালতেই।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে।  বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে এপ্রিল মাসে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নিজের ফোন পাঁচিল বেয়ে উঠে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সে সময়ে বিস্তর ‘নাটক’ হয়েছিল। দীর্ঘ তল্লাশির পর জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে তিনি শ্রীঘরে। এদিকে ছেলে গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক দাবি করেন স্বয়ং বিধায়কের বাবা বিশ্বনাথ।

বিশ্বনাথের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদের কান্দিতে যে বাড়িতে থাকেন জীবনকৃষ্ণ, সেটি আদতে তাঁর। পেশায় ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ। তিনি দাবি করেছিলেন, কান্দিতে তিনি ব্যবসার কাজের সুবিধার জন্য একটি বাড়ি করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই বাড়িতে ঢুকতেই পারেন না তিনি। কারণ জীবনকৃষ্ণ তাঁর ওপর অত্যাচার করে বাড়ি থেকে বার করে দেন।

বিশ্বনাথের অভিযোগ, এ বছরের প্রথমেই তাঁকে মারধর করে বিধায়ক ছেলে  বাড়ি থেকে বের করে দেন। ওই বাড়িতে বিধায়কের বাবার রেশন ডিলারশিপ অফিস ছিল। এখন সেটাও খুলতে পারছেন না তিনি। থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।

যদিও পুলিশের দাবি,  ওটা ভাড়া বাড়ি। বাড়ির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক আছে। এরপর জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। বুধবার  বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলাটি ওঠে। কিন্তু বিচারপতি সেই মামলা শোনেননি। তাঁর বক্তব্য, এটি একান্তই পারিবারিক একটি বিষয়। নিম্ন আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দেন বিচারপতি।

Next Article