আসানসোল: তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত এখনও পরিষ্কার নয়। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার দু’দিনের মধ্যে দলে ফিরে এসেছেন ঠিকই। তবে আসানসোল পুরনিগমের পুরপ্রশাসক ও জেলা সভাপতির ছেড়ে যাওয়া পদ তিনি ফিরে পাননি জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Adhikari)। তারই মধ্যে রবিবার আসানসোল শহরে তিনি পা মেলালেন আদিবাসী সংগঠনের ডাকা একটি মিছিলে। সব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অন্তরালেই ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ঘটনার ১১ দিন পর প্রকাশ্যে এলেন প্রাক্তন মেয়র।
সাঁওতালদের পৃথক “সারীধরম” কোডের দাবিতে রবিবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে সারীধরম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপলক্ষেই এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আসানসোল পুরনিগমের সামনে থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। রবীন্দ্রভবনে গিয়ে শেষ হওয়া সেই মিছিলে তিনি ছিলেন।
প্রথমে আসানসোলের উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পত্রবোমা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। পরে দুর্গাপুরে গ্রাফাইট কারখানার সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির মঞ্চ থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ করেন। সেদিনই আবার সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের কাঁকসার বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: কী নিয়ে কথা হল রাজ্যপালের সঙ্গে? রাজভবন থেকে বেরিয়ে রহস্য বাড়ালেন সৌরভ
পরের দিন ১৬ ডিসেম্বর আচমকাই আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক ও তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। এতকিছুর পরে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় যে তিনি বিজেপিতেই যাচ্ছেন। কিন্তু তারপরেই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকছেন। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটে গেছে। যদিও এই ঘটনার পর ১১ দিন পার হলেও তাঁকে দলের জেলা সভাপতি ও আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। আবার ওই দুটি পদে এখনও কাউকে আনাও হয়নি। ফলে কাকে পুর প্রশাসক ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি করা হবে তা নিয়েও বেশ ধোঁয়াশা রয়েছে।
আদিবাসীদের মিছিলে অংশ নেওয়ার পরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “আমাকে একমাস আগে উদ্যোক্তাদের তরফে এদিন থাকার জন্য বলা হয়েছিল। আমি তাঁদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। তাঁদের এই অধিকার পাওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন: একুশের নির্বাচনের আগে বড় দায়িত্ব পেলেন শোভন, পদ-প্রাপ্তি হল বৈশাখীরও