AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

একুশের নির্বাচনের আগে বড় দায়িত্ব পেলেন শোভন, পদ-প্রাপ্তি হল বৈশাখীরও

২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ইস্তক শোভন-বৈশাখী কোনও দলীয় কর্মসূচিতেই অংশ নেননি। তবে মাসকয়েক আগে বিজেপির রাজ্য কমিটির যে তালিকা প্রকাশ হয় সেখানে দুজনেরই নাম ছিল

একুশের নির্বাচনের আগে বড় দায়িত্ব পেলেন শোভন, পদ-প্রাপ্তি হল বৈশাখীরও
একুশের নির্বাচনের আগে বড় দায়িত্ব পেলেন শোভন, পদ-প্রাপ্তি হল বৈশাখীরও
| Updated on: Dec 27, 2020 | 8:00 PM
Share

কলকাতা: ‘নিষ্ক্রিয়’ শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovan Chatterjee) এবার সক্রিয় করার লক্ষ্যে বড় দায়িত্ব দিল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে শহরের প্রাক্তন মেয়রকে কলকাতা জ়োনের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। আহ্বায়ক করা হয়েছে বিজেপি নেতা দেবজিৎ সরকারকে। শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Baishakhi Banerjee) হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। তিনিও কলকাতা জ়োনের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পেয়েছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একই পদ দিয়েছেন শঙ্কুদেব পণ্ডাকেও।

এদিনের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা চমক থাকলেও একে অপ্রত্যাশিত বলা যাবে না। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ইস্তক শোভন-বৈশাখী কোনও দলীয় কর্মসূচিতেই অংশ নেননি। তবে মাসকয়েক আগে বিজেপির রাজ্য কমিটির যে তালিকা প্রকাশ হয় সেখানে দুজনেরই নাম ছিল। তখনই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, তাঁরা ক্রমশ এবার দায়িত্বও পেতে চলেছেন। মনেও করা হচ্ছিল যে ভোটের আগে বড় কোনও পদ তিনি পেতে পারেন। তবে গোটা কলকাতা শহরের দায়িত্বই যে শোভন পেয়ে যাবেন, তা অনেকেই আশা করেননি।

সূত্রের খবর, আজ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে চলেছে। অমিত শাহের সঙ্গে বৈশাখী-শোভন সাক্ষাতের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, “নির্বাচনে যাতে সফল হওয়া যায় তাই দায়িত্ব দেওয়া হল শোভনদাকে। দীর্ঘদিন শোভনদা ২৪ পরগনা , কলকাতাতে কাজ করেছেন। বৈশাখীও অনেকদিন দলের সঙ্গে আছেন। ফলে তাঁকেও দায়িত্ব দেওয়া হল।”

আরও পড়ুন: কী নিয়ে কথা হল রাজ্যপালের সঙ্গে? রাজভবন থেকে বেরিয়ে রহস্য বাড়ালেন সৌরভ

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শোভনকে এই সিদ্ধান্ত অনেক ভেবে চিন্তেই দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। প্রথমত, মেয়র থাকার সৌজন্যে তিনি হাতের তালুর মতো কলকাতাকে চেনেন। দ্বিতীয়ত, উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় শোভনের রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটাই বেশি। এবং সেখানেই বিজেপি অনেকটা দুর্বল। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এবার দক্ষিণ কলকাতার ভোটের দিকেও নজর দিতে চাইছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: ‘আমি সারদাতেও নেই, নারদাতেও নেই, তোলাবাজ তো তুমি’, শুভেন্দুকে জবাব অভিষেকের

কলকাতায় সাংগঠনিক বদলের পাশাপাশি একাধিক জেলা সভাপতি, পর্যবেক্ষকদের রদবদল করা হয়েছে এদিন। একই সঙ্গে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে একাধিক জেলায় নতুন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বিজেপি ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে অজিত দাসকে। সংগঠনকে আরও সংঘবদ্ধ করতে বিজেপির যুব, মহিলা-সহ সকল মোর্চায় একজন করে পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে রাজ্য বিজেপি।