Murder: পায়রার ঘরের মধ্যে দিয়ে ঢুকেছিল আততায়ীরা, জোড়াবাগান খুনে ‘মোটিভ’ খুঁজে পেল পুলিশ

Murder: ময়নাতদন্তে মোট ১১টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে মৃতের শরীরে। বেশি আঘাত ছিল মাথায়। তবে পুলিশের তদন্তে এটা স্পষ্ট যে বাড়ির নকশার সঙ্গে আততায়ী পরিচিত ছিল।

Murder: পায়রার ঘরের মধ্যে দিয়ে ঢুকেছিল আততায়ীরা, জোড়াবাগান খুনে 'মোটিভ' খুঁজে পেল পুলিশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2024 | 4:23 PM

কলকাতা: কালীপুজোর দিন সকালে পাঁচ তলার চিলে কোঠার ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির দেহ। ঘরে ঢুকে কে তাঁকে খুন করল, কারণই বা কী? এই প্রশ্নে চাঞ্চল্য তৈরি হয় কলকাতার জোড়াবাগান এলাকায়। সেই খুনের কারণ এবার সামনে এল প্রাথমিক তদন্তে। পুলিশ সূত্রে খবর, লুঠপাট করতে গিয়েই এই খুন করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে এই ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত।

তদন্তে দেখা গিয়েছে, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই মৃত ব্যক্তির গলার সোনার চেন এবং হাতের সোনার আংটি গায়েব। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে, গোটা ঘর লণ্ডভণ্ড করা ছিল। ঘরে থাকাও সোনার গয়নাও লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। লুঠ করতে গিয়ে বাধা পেয়েই খুন বলে অনুমান পুলিশের। মাথায় এবং বুকে ভারী ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তে মোট ১১টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে মৃতের শরীরে। বেশি আঘাত ছিল মাথায়। তবে পুলিশের তদন্তে এটা স্পষ্ট যে বাড়ির নকশার সঙ্গে আততায়ী পরিচিত ছিল। গোয়েন্দাদের অনুমান, ছাদের দিকে পিছনের দরজা, যেটা পায়রার ঘরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, সেই দরজা দিয়েই আততায়ী বা আততায়ীরা ঢুকেছে এবং পালিয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য, বাড়ির নকশার সঙ্গে পরিচয় না থাকলে এটা করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ‘খুনি’ পরিচিত কেউ কি না, পেশাদার চোরের দল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে, এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ পাড়ার লোক তাঁকে রাতের খাবার কিনে ঘরে যেতে দেখেছিলেন। আর বৃহস্পতিবার সকালেই উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত দেহ।