Jorasanko: জোড়াসাঁকোয় তৃণমূলের ‘শক্র’ কে? মুখ খুলেই বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
Jorasanko: উত্তর কলকাতায় আবারও প্রত্যাশিত ভাবেই জয় পেয়েছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর এই জয়ের মধ্যেও বহু প্রশ্ন উঠেছে শাসকদলের অন্দরে। কারণ, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের তুলনায় ভোটের ব্যবধান কমেছে সুদীপের।

কলকাতা: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তার পরই জোড়াসাঁকোয় তুলকালাম কাণ্ড! নাম না করে ‘প্রাক্তন’ সঞ্জয় বক্সী, স্মিতা বক্সীকে নিশানা করছেন বিবেক গুপ্ত। জোড়াসাঁকোর ‘শত্রু’ বলে আক্রমণ করছেন বিবেক।
প্রসঙ্গত, উত্তর কলকাতায় আবারও প্রত্যাশিত ভাবেই জয় পেয়েছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর এই জয়ের মধ্যেও বহু প্রশ্ন উঠেছে শাসকদলের অন্দরে। কারণ, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের তুলনায় ভোটের ব্যবধান কমেছে সুদীপের। এমনকি, গত লোকসভা ভোটের তুলনায় কলকাতা পুরসভার বেশি সংখ্যক ওয়ার্ডে পিছিয়ে গিয়েছে শাসকদল। আর তারই গত শনিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে জোড়াসাঁকো ও চৌরঙ্গীর ওপর বিশেষ ভাবে জোর দিতে বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অভিষেকের এই বার্তার পরই মুখ খোলেন জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তা। প্রকাশ্যে চলে আসে দলীয় কোন্দল।
জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তা বলেন, “জোড়াসাঁকোর শত্রু ওরা, যারা উন্নয়নের জন্য কাজ করে না, নিজের জন্য কাজ করে। আমাদের দলের নেতৃত্বের পোস্ট পেয়েছেন, নাকি নিজেই নিয়ে নিয়েছেন, তা বলতে পারব না, তবে ওরা ইলিগ্যাল পার্কিং করে, জমি দখল করে, টাকা তোলে, নির্বাচনে ওদের কোনও অবদান নেই, ওর লোক দাঁড়ায় না, হইচই করার সময়ে থাকে। যখন নির্বাচন হচ্ছিল কোথায় ছিল?” তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় ‘বক্সীদের’ উদ্দেশে বলছেন? তিনি বলেন, “আমি নাম নেব না। তবে ওদের এলাকায় কেন মাইনাসে যায়? সমস্যা অন্দরে আছে তো। অনেক লোক ঢুকে গিয়েছে। ওদের সঙ্গে বক্সীদের সঙ্গে মিশে নাকি?”
বিবেক গুপ্তার বক্তব্য, তাপস রায় একজন বিজেপি নেতা, তিনি কেন সঞ্জয় বক্সীর ব্যাপারে এত কথা বললেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসলে জোড়াসাঁকোতে ঘরের কোন্দলটা সামনে এসে পড়েছে। ছাব্বিশের নির্বাচনের এখনও এক বছর বাকি, তার আগেই খোদ কলকাতার বুকে বড়বাজার লাগায়ো অঞ্চল, যেখানে বিজেপি একসময়ে ভাল ফল করেছে। সেটা ২০১৪’র নির্বাচন হোক, কিংবা ২০১৯’র নির্বাচন! সেই জায়গাতেই প্রাক্তন বিধায়ক বনাম বর্তমান বিধায়কের লড়াই সামনে চলে এসেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাপস রায়ের বক্তব্য আসলে অস্ত্র! কিন্তু সেই ‘অস্ত্র’কে হাতিয়ার করেই এক বিধায়ক সামনে নিয়ে চলে এলেন দলের কোন্দলই।
সঞ্জয় বক্সীর আবার বক্তব্য, নাম করে তো বলেননি, যদি বলেন, তাহলে প্রতিক্রিয়া দেবেন। তাঁর কথায়, “বলছে, যারা আগে রাজ করেছে, তারা এটা করেছে। কারোর কি এরকম ক্ষমতা আছে? কেউ ছিল বলে, সে যা বলবে এরকম হয়? এটা মেয়রকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন। যারা প্রাক্তন রয়েছেন, তাঁরা যদি বেআইনি করেন, শুনবেন কেউ? ”
উল্লেখ্য , গত ভোটে জোড়াসাঁকোতে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। ফলাফলের নিরিখে দেখা গিয়েছে, পরাজিত হলেও ভালই লড়াই করেছেন তাপস। দু’টি বিধানসভায় বিজেপি তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি, উত্তর কলকাতার ২৪টি ওয়ার্ডেও এগিয়েছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের সংগঠনের ওপরই জোর দিচ্ছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।





