কলকাতা: রবিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুবিনয় চক্রবর্তী। পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তের মধ্যেই তাঁর এই পদত্যাগ নিয়ে জলঘোলা তৈরি হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রধান সুবিনয়বাবু। তাঁর নেতৃত্বেই চলেছে তদন্ত। ফলে সুবিনয়বাবুর ইস্তফায় তদন্তের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। তবে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিন পদ থেকে ইস্তফা দিলেও সুবিনয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বেই চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্ত। রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকেও আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির আওতায় আনা হয়েছে।
সোমবার এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ফেটসুর প্রাক্তন জিএস গৌরব দাসকে। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রসঙ্গত, আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির নজরে আগেই ছিলেন গৌরব। হস্টেল সুপার তদন্ত কমিটিকে জানিয়ে এসেছেন হস্টেলে তাঁকে প্রায়শই দেখা যেত। অথচ এখন ‘বেপাত্তা’। পরে যদিও, গৌরব জানান, তিনি যাদবপুরেই রয়েছেন। র্যাগিং প্রসঙ্গে গৌরব জানিয়েছিলেন ঘটনার সময় তিনি হস্টেলে ছিলেন না। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান। তবে এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি ছাড়াও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে।
অপরদিকে, র্যাগিংয়ের প্রতিকার খুঁজতে আজ জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভাগীয় প্রধানদের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিরও। বৈঠকে থাকবেন যাদবপুর ও বিধাননগর থানার পুলিশ আধিকারিকরাও। কীভাবে ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করা যায় সেই বিষয়েও মূলত আলোচনা করা হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
পড়ুয়া মৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখ পড়তে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। গত বৃহস্পতিবারই রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেন। ক্যাম্পাসের ভিতরে মাদক নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আই ডি কার্ড দেখিয়ে ভিতরে ঢোকার নির্দেশও জারি করা হয়।