কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরে গিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। এরপরই রিপোর্ট এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, বেশ কিছু জিনিস কার্যকর হয়নি এখানে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে বেরিয়ে এমনই জানালেন যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “ইউজিসি কিছু রিপোর্ট পাঠিয়েছে। ৪-৫ সেপ্টেম্বর ওরা এসেছিল। তারা দেখে গিয়েছে কিছু কিছু জায়গায় আমাদের মেনটেইন করা হয়নি। তখনও তারা বলেছিল। আমি তো ২০ অগস্ট যোগ দিয়েছি। এখন কী হয়েছে তাহলে সেটা তদন্ত করতে হবে। যা যা বলবেন ইমপ্লিমেনটেড হয়নি আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেষ্টা করব।”
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে একাধিক বিষয়ে খবর নেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, ইতিমধ্যে আর্টস এবং সায়েন্সের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা হয়েছে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সবে ভর্তি হয়েছে। তাদের জন্য পুরোটা করা যায়নি। সার্কুলার দেওয়া হয়েছিল পুরনো একটি ব্লক খালি করার জন্য। উপাচার্য বলেন, “২০০৯ থেকে এই ভাগাভাগির কথা ছিল। হয়নি। যতটা করা সম্ভব করছি। একটা সার্কুলার আমরা দিয়েছিলাম। সিনিয়রদের পাশের ব্লকে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ১৫ জন লিখিত অভিযোগ করে তারা সিনিয়রদের ভয় পাচ্ছে।”
উপাচার্য বলেন, “মঙ্গলবার ইসি আছে। সেখানে আলোচনা হবে। কারণ ওরা র্যাগিংয়ের ভয় পাচ্ছে। ওরা বলছে পিজি স্টুডেন্টদের সঙ্গে থাকতে চায় না। বলছে, ওখানেও র্যাগিং হলে। আমি বর্ষ অনুযায়ী ব্লকের পক্ষে। রাজ্যপালও বললেন, আপনি যা মনে করেন করুন। রাজ্যপাল মূলত অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির ক্ষেত্রে ইউজিসি থেকে যে রিপোর্ট এসেছে সেটা নিয়েই আলোচনা করেছেন। কী কী কাজ হল, কতটা হল জানতে চান তিনি। আমিও জানিয়েছি, সিসিটিভির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।”