কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন চিকিৎসকরা যেন কাজে ফেরেন। সেইমতো কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। তবে কর্মবিরতির পথ থেকে সরছে না জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন আপাতত ‘সিজওয়ার্ক’-এই থাকছে বলে জানিয়ে দিল।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে, কর্মবিরতি চলবে। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি এখনও স্পষ্ট নয়। জিজ্ঞাসাবাদের তালিকা দীর্ঘ হলেও নতুন করে কোনও গ্রেফতার নেই। সন্দীপ ঘোষের ভূমিকাও স্পষ্ট নেই। তদন্তের গতিপ্রকৃতি ইতিবাচক না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি জারি থাকবে তাদের।
তবে এদিন কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা FAIMA। দেশের সব হাসপাতালের রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন বা আরডিএ-ও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। FAIMA র ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব বড় হাসপাতালেই প্রত্যাহার হল কর্মবিরতি। এদিন আরডিএ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাদের উপর ভরসা রাখতে, কাজে ফিরতে। সেই ভরসাতেই কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে কর্মবিরতির ডাক দেন জুনিয়র হাসপাতালের চিকিৎসকরা। একে একে সেই কর্মবিরতিতে যুক্ত হতে থাকেন গোটা রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালগুলির পিজিটি, ইন্টার্ন, জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশে থেকে সংহতি জানান সিনিয়ররাও। পথে নামেন ডাক্তাররা। ধীরে ধীরে এই চিকিৎসক-আন্দোলনের আঁচ ছড়ায় দিল্লির এইমস থেকে শুরু করে দেশের একাধিক হাসপাতালে। দাবি একটাই, সুবিচার ও নিরাপত্তা। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে।
আজ বৃহস্পতিবারও এই মামলার শুনানি ছিল। চিকিৎসকদের টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি নিয়ে যেমন দেশের শীর্ষ আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে। একইসঙ্গে আহ্বান জানায়, চিকিৎসক সংগঠনগুলি যেন তাদের কর্মবিরতি তুলে নেয়। চিকিৎসায় ফেরে। সেই ডাকেই সারা দিয়েছে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে একাধিক সংগঠন। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, এই চক্রান্তের পেছনে আরও অনেকেই রয়েছে। শুধুমাত্র সন্দীপ ঘোষেই শেষ নয়। সমস্ত অপরাধীদের যাতে খুঁজে বের করা হয় এবং তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় তার দাবি জানান তাঁরা।