কলকাতা: শুক্রবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দাবি পূরণ না হলে শনিবার রাত্রি সাড়ে আটটার পর থেকে অনশনে বসবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই মতো রাত সাড়ে আটটার সময় সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, ছ’জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে বসছেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “এই মুহূর্ত থেকে আমরন অনশন বসতে চলেছি। কাজে ফিরছি। তবে খাবার খাব না।” যদিও, প্রথম দফায় যে ছ’জন জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তাঁর মধ্যে আরজি করের কোনও জুনিয়র চিকিৎসক নেই বলেই জানিয়েছেন বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তাররা।
কোন ছ’জন চিকিৎসক অনশনে বসছেন?
১) অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এসএসকেএম-নেফরো বিভাগ, পিডিটি
২) অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, এন্ডোক্রিনোলজি, প্রথম বর্ষ
৩) সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, প্যাথলজি, পিজিটি, কেপিসি কলেজ
৪)পুলস্ত্য আচার্য্য, প্রথম বর্ষ, অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগ, এনআরএস
৫)তনয়া পাঁজা, এসআর, ইএনটি, এমসিকে
৬)স্নিগ্ধ হাজরা, রেডিয়ো থেরাপি এসআর, এমসিকে
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সিসি ক্যামেরা লাইভ স্ট্রিমিং হবে। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “আমাদের আশা এরপর যখন আমরা খাবার নিজের মুখে তুলে নেব, তখন সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভয়ের রাজনীতি নিয়ে মানুষ সোচ্চার হবেন। জনস্বাস্থ্যের প্রশ্নে রাজ্যের প্রতিটি মানুষ মৌলিক প্রশ্ন করবেন। হাসপাতালে যখন কোনও রোগী বেড পান না তার জন্য আসল দায়ী কারা? আমরা আশা রাখব এই প্রশ্নগুলি মানুষ পাড়ায়-পাড়ায় ছড়িয়ে দেবেন।”
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার আরও জানান, “যেমনটা আমরা বলেছিলাম সম্পূর্ণ কর্মবিরতি আমরা তুলে নিচ্ছি। কাজে ফিরছি। তবে খাবার আমরা খাব না।” এরপরই স্বচ্ছতার বিষয়ে বলেন, “আমরা তো বারবার রাজ্য সরকারের কাছে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছি। আমরা এই অনশনের প্রশ্নেও সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিজেরা বজায় রেখে চলব। অনশন মঞ্চে সিসিটিভি বসাবো। তাঁরা দেখতে পাবেন অনশনমঞ্চে কী হচ্ছে।”