কলকাতা: মঙ্গলবার বেড না পেয়ে এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ই-মেল জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের। রেফার ‘রোগ’ সারিয়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই সকল পরামর্শ সম্পর্কে এখনও কেন নিশ্চুপ রাজ্য? ইমেলে অনুযোগ জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের।
প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশনের যে দশ দফা দাবি ছিল তার মধ্যে অন্যতম দু’টি দাবি হল, সেন্ট্রালাইজ রেফারেল সিস্টেম ও রিয়েলটাইম বেড ভ্যাকান্সি। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার দাবি করেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পাইলট প্রোজেক্টের পর এই ধীরে-ধীরে রাজ্যের সর্বত্র এই প্রোজেক্ট চালু হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের অন্তত পাঁচটা মেডিক্যাল কলেজে এই প্রোজেক্ট চালু হয়ে গিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য ভবনের সেই দাবি কি অন্তঃসারশূন্য? সেই মর্মেই প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য,এই সিস্টেম চালু হলে কীভাবে তিন-তিনটে হাসপাতাল ঘুরে মৃত্যু হল রোগীর?
জানা যাচ্ছে, ইমেলে রেফারেল সিস্টেম, রিয়েল টাইম বেড ভ্যাকেন্সি নিয়ে দ্রুত স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের আর্জি জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের সদস্যরা। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজগুলির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মুখ্যসচিবের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার ঘিরেও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
বস্তুত, গত ২১ অক্টোবর থ্রেট কালচারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরজি কর-সহ অন্য মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য ভবনকে না জানিয়ে কেন একাংশ জুনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের নির্দেশ দেওয়া হয়, কলেজের যে কোনও বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত হলে তা সুপারিশ আকারে মুখ্যসচিবের কাছে পাঠাতে হবে। সেই সূত্রেই জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের গাইডলাইন মেনে মেডিক্যাল কলেজগুলিকে চলতে হয়। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে কী করণীয় তা স্থির করে দিয়েছে এনএমসি। এনএমসি’র নিয়মে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট পাঠানোর কোনও সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে রিপোর্ট পাওয়ার অধিকারী এনএমসি। এনএমসি’কে এড়িয়ে কী ভাবে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট পাঠাবে মেডিক্যাল কলেজগুলি? ই-মেলে প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্ট।