কলকাতা: প্রাথমিকের নতুন একটি মামলায় ফের একবার শিরোনামে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নাম। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার রাত থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে তাঁকে। বুধবার আদালতে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে ধরল সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেন, “আমাদের সরকারি আধিকারিকরা অন্তত দক্ষ। ধন্যবাদ ভাল কাজের জন্য।” মঙ্গলবার বিচারপতি নির্দেশ দেওয়ার পর রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বুধবার সকাল থেকে ফের ২ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে।
প্রাথমিকে পোস্টিং সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা হয়েছিল। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সিবিআই জানায়, আজকের মতো জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে মানিকের। ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে সিবিআই জানিয়েছে, মানিক অনেক কিছুই বলেছেন। আবার অনেক কিছু মনে নেই বলেও জানিয়েছেন পলাশীপাড়ার বিধায়ক।
যে ৪০০ জন এক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, পর্ষদের কাছে তাদের তালিকা চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার ৩৪৪ জন প্রার্থীর নাম, ঠিকানা সহ সব তথ্য দিয়েছে পর্ষদ। বাকিদের তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। পর্ষদ জানিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই পোস্টিং-এর নয়া তালিকায় নিযুক্ত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিচারপতি বলেছিলেন, সিবিআই সঠিকভাবে তদন্ত না করলে তাঁকেও অন্য পথ ভাবতে হবে। প্রয়োজনে সিবিআই-এর ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠাবেন, প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি।
এদিকে, সওয়াল করতে গিয়ে এদিন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এসএসসি হাইকোর্টে ভাল আচরণ করে, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে তাদের আচরণ অন্যরকম।’ এ কথা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘সেটা যে আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে তা নয়। এর জন্য চেয়ারম্যানকে ডাকব ভাবছি। জানতে চাইব কেন এমন করছে এসএসসি। লড়াই সবে শুরু হয়েছে। আরও বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’