কলকাতা: শুক্রবার দুপুরে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় নজিরবিহীন রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একসঙ্গে ৩৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই রায়ে একদিকে যেমন আশঙ্কায় ভুগছেন ‘বেনিয়মে’ চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা, অন্যদিকে, আশায় বুক বাঁধছেন সেই সব চাকরি প্রার্থীরা, যাঁরা দিনের পর দিন নায্য চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। শুক্রবার বিচারপতি রায় দেওয়ার পর তাঁরা অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন, এবার হয়ত চাকরিটা হবে। এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘রায়-টা ভাল করে পড়ুন’।
শুক্রবার হাইকোর্ট চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার পর রাজ্য জুড়ে বহু আলোচনা হয়েছে সেই রায় নিয়ে। রাতে আদালতে নিজের চেম্বার থেকে বেরনোর পর TV9 বাংলার মুখোমুখি হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। ‘চাকরি প্রার্থীরা তো আপনার রায়ে আশা দেখছেন? এই প্রশ্ন করা হলে বিচারপতি বলেন, ‘কে কী আশা দেখছে, বলতে পারব না। তবে তাঁদের বলব, আমি যে রায়টা দিয়েছি, সেটা ভাল করে পড়ুন।’
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, বিচারপতি বলেন, ‘যাওয়ার সুযোগ যখন আছে, তখন নিশ্চয় যাবেই। যাওয়ারই তো কথা।’
১. ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ পাওয়া অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি বাতিল।
২. ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের চাকরি বহাল থাকছে।
৩. ৩৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা আপাতত চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে প্যারাটিচারের বেতন নিয়ে কাজ করতে হবে।
৪. তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে পর্ষদকে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
৫. প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি, যিনি বর্তমানে জেলে রয়েছেন, তিনি সব জানতেন। সরকার যদি মনে করে, তাহলে নতুন তদন্ত প্রক্রিয়ার পুরো খরচ মানিকের সম্পত্তি থেকে নিতে পারে।