কলকাতা : প্রাথমিক মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সিবিআইকে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো শুক্রবার সিটের ছয় জন অফিসারের নাম হাইকোর্টে জমা দেয় সিবিআই, যার প্রধান রাজীব মিশ্র। তবে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের মত ছিল, সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টরকে মূল দায়িত্ব দেওয়া হোক। কোনও ব্রাঞ্চে সমস্যা হবে না বরং তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। তাঁর কাছে সব ফাইল যায়। উপেন বাবুর মত ছিল, এমন একটি ছাতা তৈরি হোক, যাতে কেউ বাইরে থেকে প্রভাবিত না করতে পারে। কিন্তু সিবিআই-এর তরফে এই নিয়ে কিছুটা আপত্তি জানানো হয়। সিবিআইয়ের বক্তব্য ছিল, জয়েন্ট ডিরেক্টরকে একাধিক দায়িত্ব সামলাতে হয়। শুধু এই নির্দিষ্ট মামলাটি দেখলে চলবে না। কলকাতা, শিলিগুড়ি, পোর্ট ব্লেয়ার, ভুবনেশ্বর – চার জায়গার দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে।
উল্লেখ্য, সিবিআই-এর তরফে সিটের যে ছয়জনের নামের তালিকা জমা দেওয়ার সময় জানানো হয়, সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর এই তদন্তে মনিটরিং করবেন। কিন্তু তদন্ত পরিচালনা করবেন না। অর্থাৎ, সামগ্রিক বিষয়টির উপর নজর রাখবেন তিনি। কিন্তু বিষয়টিতে আপত্তি জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানতে চান, সমস্যা কোথায়? স্পেশাল টিমের সঙ্গে অন্য কাজ করতেই পারেন জয়েন্ট ডিরেক্টর। কেন তিনি কোনও দায়িত্ব নিতে চাইছেন না? সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। জানতে চান, কোনও ইগো কাজ করছে কি? শুধু তাই নয়। সিবিআইয়ের এমন ভূমিকায় বিরক্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “তিনি যদি এই তদন্তে না থাকেন তাহলে উপেন বিশ্বাসকে দায়িত্ব দিয়ে দেব। তখন ভাল হবে তো?”
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য নিজের কথা স্পষ্ট করে দেন। তিনি সিটের মাথায় দেখতে চান জয়েন্ট ডিরেক্টরকেই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জয়েন্ট ডিরেক্টরকেই সিটের প্রধান করে পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তবে আদালতের নজরদারিতেই চলবে প্রাইমারি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া।