কলকাতা: গত মে মাসে অনামিকা রায়কে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মাস গড়িয়ে সেপ্টেম্বর হয়ে যাওয়ার পরও ওই প্রার্থী চাকরি না পাওয়ায় এজলাসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিশ ভেরিফিকেশনে এত দেরী! মানুষকে হয়রানিই বা করা হল কেন! ব্যাখ্যা চেয়ে হলফনামা তলব করা হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। বোর্ডের এই আচরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ, বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে অনামিকাকে ফোন করে চাকরিতে যোগ দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে ১৬ মে নির্দেশ দেওয়ার পর এত সময় লেগে গেল কেন, তা নিয়ে বুধবারই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। ‘আলস্য ও চাকরি প্রার্থীদের প্রতি অনুভূতি শূন্য আচরণ’ বলে বোর্ডকে ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই কাজের দায়িত্বে কে ছিলেন? কেন দেরী হল? হলফনামায় এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আটকে রয়েছে অনামিকার চাকরি। বুধবার পর্ষদ জানায়, পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাগজ তাদের কাছে ১৫ সেপ্টেম্বরেই চলে আসে। সে দিন ছিল শুক্রবার। মাঝে দু দিন দফতর বন্ধ থাকার ফলে পুলিশের কাগজ তাঁরা হাতে পান ১৮ তারিখে। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “অফিস আওয়ার্স কখন শেষ হয়, ৫টা না ৬টা? ইচ্ছে করেই এসব বলছেন।” অধিকাংশ সময় এভাবে মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয় বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ববিতা সরকারের জায়গায় অনামিকা রায়কে চাকরি দিতে হবে। পর্ষদে কমিশনের সুপারিশপত্র যায় গত ১৪ জুলাই। তারপরও পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য চাকরি দিতে দেরী হওয়ায় এর আগে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘উনি কি সন্ত্রাসবাদী?’ অবশেষে চাকরিতে যোগ দিতে চলেছেন সেই অনামিকা।