Recruitment Case: ‘অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন’, এসএসসি নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য চাইবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 20, 2022 | 1:34 PM

Recruitment Case: রাজ্যে একাধিক স্কুলে রয়েছে শূন্যপদ। রাজ্য সরকারের দাবি, সার্ভার রুম খুলে দেওয়া হলেই নিয়োগ শুরু করা যাবে।

Recruitment Case: অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন, এসএসসি নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য চাইবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Follow Us

কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির একগুচ্ছ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুরু হয়েছে তদন্ত। কী ভাবে যোগ্যতা কম হওয়া সত্ত্বেও চাকরি মিলল আর তালিকায় কেন জায়গা হল না যোগ্য প্রার্থীদের, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। তবে এবার প্রশ্ন উঠল শূন্যপদ নিয়ে। শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য কোন পথে এগোচ্ছে কবে হবে শূন্যপদ পূরণ, তা জানতে এবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার কথা বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বুধবার প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। আনসার আলি নামে এক ব্যক্তি এ দিন আদালতে জানিয়েছেন, প্রাথমিকে কত পদ খালি আছে, তা জানতে আরটিআই করেছিলেন তিনি। আর তাতে জানতে পেরেছেন সম্প্রতি প্রাথমিকে ৯ হাজার ২৬০ টি শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ১৫ হাজার ২৮৪ টি পদে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছিল। ফলে ৬ হাজার ২৪টি পদ খালি।

এ দিকে আবার শূন্যপদ পূরণের প্রশ্ন উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলাতেও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিচারপতি বলেন, ‘অন্য মামলায় শুনলাম প্রতি মাসেই শূন্যপদ তৈরি হচ্ছে। এসএসসির শূন্যপদ নিয়ে জানতে চাইব। কারণ, অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন। কত তাড়াতাড়ি সেই সব পদ পূরণ করবে এসএসসি?’ প্রয়োজনে সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেই রাজ্যের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। একই সঙ্গে নিয়োগ মামলায় এ দিন বিচারপতি মন্তব্য করেন, বিচার প্রক্রিয়ায় রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। আগামী ২৫ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার বারবার দাবি করেছে, সার্ভার রুম খোলা নেই বলেই নিয়োগ করা যাচ্ছে না। তাই সার্ভার খোলার আবেদন জানিয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, সার্ভার রুম খোলা না হলে, নতুন কোনও নিয়োগ হচ্ছে না। ফাঁকা পদের সংখ্যা তার ফলেই আরও বাড়ছে বলে জানান তিনি।

Next Article