Jyotipriya Mallick: কেষ্টর মতো বালুও কি জেলার সংগঠন থেকে আবছা হবে এবার?
Jyotipriya Mallick: উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে লোকসভা ভিত্তিক ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দল। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কোনও ভাগেই সভাপতির ভার দেওয়া হয়নি। এমনকী খাদ্য দফতর থেকে বালুর বরাতে জোটে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বনদফতর।
কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একেবারের দীর্ঘদিনের সঙ্গী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা রাজনীতি সামলে এসেছেন তিনি। বলা ভাল, এ জেলার রাজনীতি তাঁর নখদর্পণে। ঠিক যেমন বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন সর্বেসর্বা। তবে এক বছর ধরে অনুব্রত তিহাড় জেলে বন্দি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বীরভূমের রাজনীতি থেকে ক্রমেই ফিকে হচ্ছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা। জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারিও উস্কে দিচ্ছে, সে প্রশ্নই। তবে কি এবার বালুও আবছা হতে শুরু করবেন উত্তর ২৪ পরগনার রাজনীতি থেকে?
ছাত্র রাজনীতি দিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের রাজনীতিতে প্রবেশ। সেই সূত্র ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয়। তৃণমূলের একেবারে জন্মলগ্ন থেকে তিনি শীর্ষ সক্রিয় নেতা। ২০০১ সালে গাইঘাটা থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রথমবার বিধায়ক হন তিনি। এরপর ২০০৬ থেকে টানা ১৫ বছর জেলার রাজনীতিতে শেষ কথা ছিলেন এই জ্যোতিপ্রিয়।
২০২১ সালের পর তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতিতেও যে পালাবদল হয়েছে, তেমনটাই মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা। অনেকে বলেন, সেই পালাবদলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। খাদ্যমন্ত্রী থেকে বনমন্ত্রী হন বালু। অন্যদিকে সাংগঠনিক ক্ষমতাও কমতে শুরু করে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে লোকসভা ভিত্তিক ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দল। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কোনও ভাগেই সভাপতির ভার দেওয়া হয়নি। এমনকী খাদ্য দফতর থেকে বালুর বরাতে জোটে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বনদফতর।
তবে পদাধিকারে বালু কিছুটা কোণঠাসা হলেও উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠনে এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী বলেই মত দলের একাংশের। এ জেলায় মতুয়া সম্প্রদায় একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সেই মতুয়াদের ভোটব্যাঙ্ককে একত্রিত করার ক্ষেত্রে বালুর ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সে কারণেই, একটা সময়ে মুকুল রায়ের এ জেলায় আধিপত্য থাকলেও বালুর দাপটে কেউ হাত দিতে পারেনি। যদিও ইদানিং সে ছবিতেও বদল আসে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বরাহনগরের বিধায়ক তথা ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, “প্রতিবাদে আরও সংঘবদ্ধ হবে কর্মী, সমর্থকরা। পিছু হঠা বা ধাক্কার কোনও প্রশ্নই নেই।” জেলায় সংগঠনও দুর্বল হওয়ার জায়গা নেই, দাবি তাঁর।