কলকাতা: করোনার বাড়বাড়ন্ত। উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে সাধারণ ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। কেবলমাত্র পালা করা সেবাইতরাই পূজা করতে পারবেন। তাঁরাই মন্দিরের গর্ভ গৃহে প্রবেশ করতে পারবেন। আগামী ১১ থেকে ২৬ জানুয়ারি এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। করোনা সংক্রমণের কারণে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনিক স্তরে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। দ্রুত গতিতে করোনা ছড়ানোয় মন্দির কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনিক স্তরে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, একটি মিটিং করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১১-২৬ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দির। সাধারণ দর্শনার্থীরা ২ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে ৪ নম্বর গেট দিয়ে বের হতে পারবেন। দুটি গেটই খোলা থাকবে। স্যানিটাইজার টানেল দিয়ে যেতে হবে।
কোভিড গাইডলাইন মেনে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। তবে গর্ভগৃহে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই মাইকিং করে সতর্ক করা শুরু করেছে পুলিশ। মন্দিরে ঢোকার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা, তা কড়াভাবে নজর রাখা হচ্ছে।
এদিকে, শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে আদালত। কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে তিন সদস্যের কমিটি। এই তিন সদস্যের কমিটিতে থাকছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন।
গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই একটি প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, যে প্রচুর লোক সমাগমে কীভাবে কোভিড বিধি মানা সম্ভব? বাইরে থেকে প্রচুর লোক আসেন। শুক্রবারের শুনানিতেও এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সেক্ষেত্রে বিচারপতি জানান, মেলায় কোভিড বিধি মানা হয় কিনা, তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। নিয়ম অনুসারে কোনও ধর্মীয় স্থানে ৫০ এর বেশি লোক হওয়া যাবে না। সেই বিধি এক্ষেত্রেও মানতে হবে।
সাধারণভাবে দেখা যায়, এই ধরনের নির্দেশিকা রাজ্য সরকার তাদের বিজ্ঞপ্তিতে এমনিই দিয়ে রাখে। এক্ষেত্রেও সেটি হয়েছে। সেক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, কপিল মুনির আশ্রমেই দেখা যাবে, ৫০-এর বেশি লোক হবে। সঙ্গে গঙ্গাসাগরের পুরো তট জুড়েই প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। তাঁদের মূল লক্ষ্যই হল পুণ্যস্নান। বিচারপতি জানিয়েছেন, কপিল মুনির আশ্রমেই ৫০-এর বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। পাশাপাশি যাঁরা আসছেন, তাঁদের কোভিড টেস্ট হচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। যদি পজিটিভ হন, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। এই বিষয়টি দেখার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপাল জানেনই না কেন্দ্রের গাইডলাইন, আমাকে প্রশ্ন করেন!’ নমোর কাছে ‘অভিযোগ’ মমতার
আরও পড়ুন: কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা, খতিয়ে দেখবে কমিটি! শর্তসাক্ষেপে গঙ্গাসাগরে অনুমতি আদালতের