কলকাতা: ‘রাজনীতিতে বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়।’ ট্রাম্প নিয়ে বলতে গিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, গ্রহণযোগ্যতা থাকলে কাজ চালিয়ে যেতে কোনও সমস্যা হয় না। বৃহস্পতিবার কল্যাণ কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিয়েছে, যে বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয় রাজনীতিতে। ৭৮ বছর বয়সে যদি কর্মক্ষমতা থাকে, যদি পপুলারিটি থাকে, মানুষের গ্রহণযোগ্যতা থাকে, তাহলে যে জিতে আসতে পারে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জন্মদিন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবারই তাঁকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, “মমতাদির পর একদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক। মমতাদি ঘরানার সময়োপযোগী ধারক ও বাহক অভিষেক। যতদিন আমি তৃণমূলে থাকব, ততদিনই অভিষেক আমার নেতা।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভাবী মুখ্যমন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করেন তিনি।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, আলাদা করে কুণাল ঘোষকে বারবার একথা উল্লেখ করে বলতে হচ্ছে কেন? তাহলে কি দলের মধ্যেই এই নিয়ে কারোর মনে কোনও ধন্দ রয়েছে? তৃণমূলে আদি ও নব্য নেতাদের মধ্যে যে সমান্তরাল একটি সমীকরণ রয়েছে, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে অজানা নয়। কুণালের ‘ভাবী মুখ্যমন্ত্রী’ অভিষেকের জন্মদিনে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রসঙ্গ উত্থাপন ও রাজনীতিতে ‘বয়স-ফ্যাক্টর’ সংক্রান্ত শব্দবন্ধে কল্যাণ ‘মুখ্যমন্ত্রী’ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই বার্তা দিতে চাইলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা এতদিন ধরে মনে করেছেন, সিপিএমে ভর্তি পাকা চুলের লোক, মানে বয়স্ক। এতদিন পর তাঁর অন্য কথা মনে হয়েছে। আসলে ওঁ বোঝে, কখন কোনটা বললে সুবিধা করতে পারবেন, সেটাই বলেন।”