কলকাতা : মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে আগেই দায়িত্ব নিয়েছেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে পর্ষদ ভালভাবে কাজ করবে। যেভাবে পর্ষদ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এসেছে এতদিন, সেভাবেই স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা নিতে থাকবে। যখন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এই কথাগুলি বলছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক কালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনিও সোমবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, আদালতের বিচার হওয়ার পর ধৈর্য্য ধরে রাখতে। পর্ষদ যে কোনও অন্যায় করেনি, পর্ষদ যে দুর্নীতিমুক্ত, সেটাই আবারও বোঝানোর চেষ্টা করলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
সদ্য প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এই দিন বলেন, “নিয়মের জন্য আমায় চলে যেতে হয়েছে।” সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে সিবিআই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা বিরক্তই হন তিনি। বলেন, “একটি ধৈর্য্য রাখতে পারছেন না? কেস চলছে তো। সিবিআই তদন্ত চলছে। কেউ কেউ বলছেন পর্ষদ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দেখতে পাবেন, পর্ষদ উইল কাম আউট উইদ ফ্লাইং কালার্স।”
নতুন দায়িত্ব নেওয়া রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অধ্যাপক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায় এই বোর্ডে কাজ করেছেন। কল্যাণময় বাবুর বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার পরে তিনি আর কন্টিনিউ করতে পারছিলেন না। গত শুক্রবার আমি দায়িত্ব নিয়েছি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, “২০২৩ সালের পরীক্ষার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি আমরা। নিঃশব্দে সেই প্রক্রিয়া চলছে। স্বচ্ছভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিখরে পৌঁছনোর প্রথম ধাপ পার করবে।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে একাধিক নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। কিছুদিন আগেই সল্টলেকের নিবেদিতা ভবনে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের ১১ জনের তদন্তকারী দল। সেখানে কল্যাণময় বাবু তখন ছিলেন না। সিবিআই অফিসাররা এরপর সোজা চলে গিয়েছিলেন কাদাপাড়ায় কল্যাণময় বাবুর বাড়িতে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসেন পর্ষদের অফিসে। তারপর সেখানেই চলেছিল জিজ্ঞাসাবাদ।