কলকাতা: কামদুনি কাণ্ডে ২০১৬ সালে ছয় জন অভিযুক্তর সাজা ঘোষণা করেছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি মোল্লা, আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলাম। সইফুল, আনসার ও আমিনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। দোষী সাব্যস্তদের সাজা মকুবের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা উঠেছিল। বিগত প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলছে শুনানি। সোমবার বিচারপতি বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি শেষ হয়ে গেল। এই মামলা সংক্রান্ত কিছু রিপোর্ট শুক্রবার জমা পড়ার কথা হাইকোর্টে। ওই দিনই রায় দানের জন্য সংরক্ষিত করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
কামদুনির ঘটনায় প্রথমে মোট নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীনই এক অভিযুক্তর মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও দুই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। বাকি ছয় জনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। এবার দোষী সাব্যস্তদের সাজা মুকুবের যে আবেদন হাইকোর্টে করা হয়েছিল, সেই মামলাও প্রায় শেষের পথে। ২০১৩ সালের জুন মাসের ওই নৃশংস ঘটনার এক দশক পেরিয়ে অবশেষে মিটতে চলেছে কামদুনির মামলা। দোষী সাব্যস্তদের নিম্ন আদালত যে সাজা দিয়েছিল, হাইকোর্টেও কি তা বহাল থাকবে? সেই দিকেই তাকিয়ে কামদুনির বাসিন্দারা।
কামদুনির মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গেও আজ হাইকোর্ট চত্বরে কথা বলে টিভি নাইন বাংলা। তিনি বলছেন, ‘দোষী সাব্যস্তরা আদালতে এসেছে ফাঁসির সাজা রদ করার জন্য। আমরা চাই ফাঁসির সাজাই বহাল থাক। দীর্ঘ ছ’মাস থেকে যে শুনানি চলছিল, আজ তা বলতে গেলে শেষ হয়ে গেল। শুক্রবার কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে এবং ওদিনই জানিয়ে দেওয়া হবে, রায়দান কবে হবে। নির্যাতিতাকে যেভাবে মারা হয়েছিল, তা হয়ত খুব কমই দেখা গিয়েছে। আমরা চাই আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে একটা বার্তা যাক। যাতে আগামী দিনে কেউ এমন সাহস না করতে পারে।’