Kamduni Case: গা ছাড়া ভাব CID-র, সদিচ্ছার অভাব রাজ্যেরও, অভিযোগ তুলে এবার বড় পদক্ষেপ কামদুনির নির্যাতিতার ভাইয়ের

সুজয় পাল | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 26, 2024 | 5:14 PM

Kamduni Case: নির্যাতিতার ভাই জানান, সুপ্রিম কোর্টে সিআইডির কোন অফিসার যাচ্ছেন, কবে যাচ্ছেন, আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে, সে সম্পর্কে তাঁদের কিছুই জানানো হচ্ছে না।  পুরো বিষয়টি নিয়েই অন্ধকারে রয়েছেন তাঁরা।

Kamduni Case: গা ছাড়া ভাব CID-র, সদিচ্ছার অভাব রাজ্যেরও, অভিযোগ তুলে এবার বড় পদক্ষেপ কামদুনির নির্যাতিতার ভাইয়ের
কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারের বড় অভিযোগ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা:  ২০১৩ সালের ধর্ষণ ও খুনের মামলা।  এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। শীর্ষ আদালতে তা এখনও বিচারাধীন।  বিচার চাইতে ফের ভবানিভবনে কামদুনি নির্যাতিতার পরিবার।  শুক্রবার দুপুরে ভবানী ভবনে ডিআইজি সিআইডি সোমা দাসের সঙ্গে দেখা করেন কামদুনির নির্যাতিতার দুই ভাই ও প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল। নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য, হাইকোর্টের যে রায়ে এই মামলায় কয়েকজন অভিযুক্ত ছাড়া পেয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করে সিআইডি সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু সিআইডি-র মধ্যে গা ছাড়া ভাব রয়েছে বলে অভিযোগ।

নির্যাতিতার ভাই জানান, সুপ্রিম কোর্টে সিআইডির কোন অফিসার যাচ্ছেন, কবে যাচ্ছেন, আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে, সে সম্পর্কে তাঁদের কিছুই জানানো হচ্ছে না।  মামলার বর্তমান স্ট্যাটাস নিয়েই অন্ধকারে রয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে পৃথকভাবে নির্যাতিতার পরিবার যে মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছে, তার জন্য কিছু নথির প্রয়োজন। সেগুলিও তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না, ফলে সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের লড়তেও সমস্যা হচ্ছে। সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর মাসে কামদুনিতে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তার আগে নিম্ন আদালত দোষীদের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল।  সেই সাজা কমিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট দোষী সাব্যস্ত হওয়া সইফুল আলি এবং আনসার আলিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। এ ছাড়া আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্যাতিতার পরিবার। বিষয়টিতে রাজ্যও নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। হাইকোর্টের রায়ের রাতেই কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল ও টুম্পা কয়ালের বাড়িতে পৌঁছয় সিআইডি টিম। এরপর রাজ্যের তরফে ও নির্যাতিতার পরিবারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।

Next Article