কলকাতা: কসবা কাণ্ডের পর জমি বিতর্কে উঠে এসেছে গুলশান কলোনির নাম। সূত্রের খবর, কসবাকাণ্ডের পর বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
মঙ্গলবার রাতে নবান্নে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নবান্নে ডেকে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে। কসবার জমি বিতর্ক সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
কসবাকাণ্ডের পর জমি নিয়ে বিবাদের বিস্তর ‘কাহিনী’ সামনে চলে আসে। একের পর এক ভেরি বা জলাশয় ভরাট এবং বেআইনি নির্মাণের জর্জরিত গুলশান কলোনি। এখানে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে জমি সমীক্ষা বা জমি জরিপের কাজ। সেই তথ্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কসবার জমি বিতর্ক সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
কসবা কাণ্ডে রীতিমতো ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদলের। আর সেই ঘুম ওড়ানোর পিছনে অন্যতম কারণ যে আক্রান্ত কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের কথামতো ‘কসবার মধু’ অর্থাৎ খালি জমি তা ক্রমে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনায় কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষ এবং অনুগামীরা প্রথম থেকেই বড়মাথার হাত রয়েছে বলে দাবি করছিলেন। একইসঙ্গে একদা গুলশান কলোনির অন্যতম কুখ্যাত জমি কারবারি জুলকারের মদত রয়েছে বলেও দাবি উঠছিল।
আফরোজ ওরফে গুলজার খান গ্রেফতার হওয়ার পর জুলকারের যোগসাজসের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হচ্ছে বলে দাবি সুশান্ত অনুগামীদের। মহম্মদ জুলকারনাইন আলি নামে ওই ব্যবসায়ী বছর তিনেক আগে গুলশান কলোনিতে ১২০ বিঘার একটি জলাশয়ের একাংশ নিজের জমি দাবি করে আবর্জনা ফেলে ভরাট করে দেওয়ার চেষ্টা করে।