কলকাতা: পরিবারে সকলেই কৃতী। কিন্তু বাড়ির ছেলে সেই আলোকবৃত্তে ঢুকতে পারেনি। স্বপ্ন ছিল সাফল্যের স্বাদ চেখে দেখার। আর তা থেকেই ভুয়ো আইএএস সাজার পরিকল্পনা। বৃহস্পতিবার পুলিশের জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছেন ভুয়ো টিকাকরণকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব।
পুলিশের জেরার মুখে দেবাঞ্জন জানান, তাঁর বাবা ভাল সরকারি চাকরি করতেন। বোনও মেধাবী ছাত্রী। পরিবারে সকলেই কম বেশি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু দেবাঞ্জন লেখাপড়া করে তেমন কিছু করতে পারেননি বলেই সব সময় মনে করতেন। তাঁর কাছে সাফল্য মানে ছিল আলোকবৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকা। এরপরই নাকি তিনি পরিকল্পনা করেন, এমন কিছু করার যা তাঁকে সহজে জনপ্রিয়তা এনে দিতে পারে। তা থেকেই আইএএস সাজার ইচ্ছা।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, তিনি আইএএস-এর ছদ্মবেশ ধরার আগে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করতেন। সমাজসেবামূলক কাজকর্ম করার নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলতেন। সেই টাকাতেই চলত অফিসের ভাড়া মেটানো, গাড়ির ভাড়া মেটানো, গাড়ির চালকের বেতন দেওয়া, নিজের নিরাপত্তা রক্ষী ও অফিসের কর্মীদের মাসিক বেতন দেওয়া।
২০০৭ সালে দেব পরিবার মাদুরদহে আসে। এলাকার লোকজনকে দেবাঞ্জনের বাবা জানিয়েছিলেন, ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় ভাল ইংরেজিতে অনুচ্ছেদ লিখেছিল। তাতে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও এনেছিল ঘরে। ছেলের আইএএস হওয়ার কথাও নাকি তাঁর বাবাই সকলকে জানিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এমনকী প্রতিবেশীদের কাছে দেব পরিবার জানিয়েছিল, কেন্দ্র সরকার দেশজুড়ে ১৬টি মেগা সিটি তৈরি করছে। আর তাতে নাকি যুক্ত দেবাঞ্জন। সেই ‘কীর্তিমান’-এর এমন কাণ্ডে হতবাক পড়শিরা।