কলকাতা: শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে মার খেয়ে ফিরতে হয়েছে ইডি আধিকারিকদের। রাজ্যের ইতিহাসে এ ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে বেধড়ক মারের ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে টেবিলের তলাতেও লুকাতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। ২০২১ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের রসিদপুরে আক্রান্ত হয় পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরিতে পুলিশের উপর চলে হামলা।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বীরভূমের রসাইপুর গ্রামে ট্রাক চালকদের হাতে মার খেতে হয় পুলিশ কর্মীদের। গত বছর মে মাসে কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশের উপর চড়াও হয় ক্ষিপ্ত জনতা। এগরাতেও গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হয় পুলিশ। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে উত্তেজিত গ্রামবাসীদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে হয় পুলিশকে। সোজা কথায় এ রাজ্যে বারবার আক্রমণের মুখে পড়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। এবার সন্দেশখালিতে মার খেতে হয়েছে সিআরপিএফ জওয়ানদের। তাতেই ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
সন্দেশখালির ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসছে বিরোধীরা। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের এটাই উপযুক্ত সময়, বলছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কেন্দ্র দ্রুত ব্যবস্থা নিক, চাইছেন বিজেপি নেতারা। ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল। সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।