কলকাতা : বিদেশে চাকরি দেওয়া হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েই কলকাতায় নিয়ে আসা হত চাকরি প্রার্থীদের। তারপর অপহরণ করে চাওয়া হত মুক্তিপন। সেই ঘটনায় আগেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার গাজিয়াবাদ থেকে অন্যতম চক্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হল রাকেশ কুমার করোটিয়া নামে ওই ব্যক্তিকে। অপহরণের ঘটনায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
দিল্লির সাবেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাকেশ কুমার করোটিয়াকে। বুধবার তাঁকে গাজিয়াবাদ আদালতে পেশ করা হয়। চার দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, যে মোবাইল থেকে বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের বাড়িতে ফোন করে অপহরণ করার নামে মুক্তিপণ চাওয়া হত, সেই মোবাইল থেকে রাজেশ কুমার করোটিয়ার মোবাইলে ৮ থেকে ১০ বার কথোপকথন হয়েছিল। কী কারণে কথোপকথন হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যে গোটা ঘটনার নেপথ্যে রাজেশ কুমার করোটিয়ার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কীভাবে অপহরণের ছক করা হবে? মুক্তিপণ কত টাকা হবে? সমস্ত বিষয়ে এই রাজেশ কুমার করোটিয়ার সঙ্গে কথোপকথন চলত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে এই নিয়ো মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হল।
গত রবিবার সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ-র সহযোগিতায় কলকাতা বিমানবন্দর থানার পুলিশ অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হত তাঁদের। আটকে পরিবারের থেকে টাকা আদায় করা হত বলে অভিযোগ। লক্ষ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হত। মোট ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।