KMC: পর পর শহরে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু, পুরনিগমের কাছে রিপোর্ট চাইল নবান্ন

Electrocution: পুরনিগমের আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সী জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে নবান্ন রিপোর্ট চেয়েছে। এর মধ্যেই রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হবে।

KMC: পর পর শহরে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু, পুরনিগমের কাছে রিপোর্ট চাইল নবান্ন
শহরে বারবার তড়িদাহত হওয়ার ঘটনায় রিপোর্ট চাইল নবান্ন। প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2022 | 6:51 PM

কলকাতা: কলকাতা শহরে পরপর বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এবার রিপোর্ট তলব করল নবান্ন। হরিদেবপুর, রাজাবাজার, এন্টালির ঘটনার পর পুরনিগমের কাছে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। গত দু’ সপ্তাহের মধ্যে তিনজন তড়িদাহত হয়ে মারা গিয়েছেন শহরে। এই ঘটনায় বারবার কাঠগড়ায় উঠেছে শহরের বাতিস্তম্ভগুলি। বাতিস্তম্ভগুলির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না বলে অভিযোগ। এদিক ওদিক তার পড়ে থাকে মুখ খোলা অবস্থায়। এরপরই শহরের বাতিস্তম্ভগুলির হাল হকিকত নিয়ে নবান্ন থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

শহরে কতগুলি বাতিস্তম্ভ রয়েছে, সেগুলোর কী অবস্থা, কোন বাতিস্তম্ভের কোথায় কোথায় হুকিং করা হচ্ছে, কলকাতা পুরনিগম বেহাল বাতিস্তম্ভগুলি নিয়ে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, না নিলে কেন নেয়নি সমস্ত কিছুর উল্লেখ থাকতে হবে ওই রিপোর্টে। একইসঙ্গে যে বাতিস্তম্ভগুলির মাঝখানে থাকা ইলেকট্রিক বক্স খোলা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল সম্প্রতি, সেগুলি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কি না সমস্ত কিছু রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে পুরনিগমের আলো বিভাগ সূত্রে খবর।

পুরনিগমের আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সী জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে নবান্ন রিপোর্ট চেয়েছে। এর মধ্যেই রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, শুধু পুরনিগম নয়, সিইএসসিরও একাধিক বাতিস্তম্ভ খারাপ রয়েছে। রিপোর্টে নবান্ন যা যা জানতে চেয়েছে, সমস্ত কিছুই জানানো হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা পাঠানো হবে।

কিছুদিন আগেই হরিদেবপুরে এক কিশোর জমা জলে তড়িদাহত হয়। বাড়ি থেকে যাওয়ার পথে একটি বাতিস্তম্ভে হাত লাগে তার। ছিটকে পড়ে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। চলতি সপ্তাহেই ট্যাংরা থানা এলাকায় একটি খাবারের দোকানের মালিক দোকান থেকে বেরোনোর সময় শাটারে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। অভিযোগ তাতেই মারা যান তিনি। গত কয়েকদিনে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে শহরে যতগুলি মৃত্যু হয়েছে, তার অধিকাংশের সঙ্গেই হুকিং করে বিদ্যুৎ সংযোগের ঘটনার যোগ পাওয়া গিয়েছে। তা নিয়ে আগেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার আলোক বিভাগের মেয়র পারিষদ। তাঁর অভিযোগ, সিইএসসি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও এই ঘটনার জন্য দায়ী।