Kalatan Dashgupta: কে কলতান? কীভাবে উত্থান? জানুন, সিপিএম-এর হোলটাইমারের বায়ো বৃত্তান্ত

Kalatan Dashgupta: বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কলতান দাশগুপ্তকে বামেদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। শতরূপ ঘোষের মতো তিনিও অত্যন্ত সুপরিচিত ঝাঁঝালো বক্তা হিসাবে। তাবড়-তাবড় বিরোধীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কলতান নিজের বক্তব্য বরাবরই তুলে ধরেন অত্যন্ত ধারাল ভাবে। বামেদের সেই তরুণ মুখই এবার গ্রেফতার হতে কার্যত ফুঁসে উঠেছে গোটা লাল শিবির।

Kalatan Dashgupta: কে কলতান? কীভাবে উত্থান? জানুন, সিপিএম-এর হোলটাইমারের বায়ো বৃত্তান্ত
সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্তImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2024 | 6:06 PM

কলকাতা: বামেদের অত্যন্ত সুপরিচিত মুখ। বিভিন্ন মিটিং-মিছিলে হামেশাই দেখা যায় তাঁকে। ছিমছাম চেহারার ছেলেটার এভাবে গ্রেফতারি মেনে নিতে পারেননি খোদ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। বলেই ফেলেছিলেন, “আমি তাঁকে যতদূর চিনি তাতে আমার মনে হয় না তিনি এরকম কাজ করার মতো মানুষ!” সেই ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত এখন রাজনীতির চর্চায়। সম্প্রতি, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে দু’জনের কথোপকথন শোনা যায়। অভিযুক্তরা ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠকে হামলার ছক কষছে বলে দাবি করা হয়। সংশ্লিষ্ট অডিয়ো ক্লিপের কথোপকথনের নিয়ে যখন তুুমুল চর্চা চলছে সেই সময় পুলিশের হাতে সঞ্জীব দাস নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। এরপর বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কলতান।

কলতানের পরিচয়

১৯৮৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম হয় কলতান দাশগুপ্তের। তাঁর বাবা একটি প্রতিবন্ধী সংগঠনে চাকরি করতেন। মা গৃহবধূ। যাদবপুর হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর, ২০০৩ সালে হেরম্বচন্দ্র কলেজে অ্যাকাউটেন্সি নিয়ে পাশ করেন তিনি। বর্তমানে পার্টির হোলটাইমার কলতান। তাঁর স্ত্রী পেশায় অধ্যাপিকা। তৃণমূল আমলেই চাকরি পেয়েছেন তিনি।

কলেজে পড়াকালীনই বামপন্থী মতাদর্শ নিয়ে আগ্রহ বোধ করেন ডিওয়াইএফআই এই নেতা। যোগ দেন সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এ। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন।

এর মধ্যেই ২০১০-২০১২ সাল পর্যন্ত এসএফআই রাজ্য কমিটির সদস্য হন কলতান। এরপর ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ডিওয়াইএফআই-এর কলকাতা জেলার সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। তারপর পর থেকে এখনও পর্যন্ত ডিওয়াইএফআই-এর মুখপাত্র ‘যুবশক্তি’-র সম্পাদক রয়েছেন তরুণ বামনেতা।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কলতান দাশগুপ্তকে বামেদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। শতরূপ ঘোষের মতো তিনিও অত্যন্ত সুপরিচিত ঝাঁঝালো বক্তা হিসাবে। তাবড়-তাবড় বিরোধীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কলতান নিজের বক্তব্য বরাবরই তুলে ধরেন অত্যন্ত ধারাল ভাবে। বামেদের সেই তরুণ মুখই এবার গ্রেফতার হতে কার্যত ফুঁসে উঠেছে গোটা লাল শিবির।

ইতিমধ্যেই সিপিএম পেগাসাসের তত্ব সামনে এনেছে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “যে পুলিশ এক বছরেও কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠের নমুনা ধরতে পারেনি, তারা ২৪ ঘণ্টায় এই অডিয়োর কণ্ঠ কার বুঝে গেল। একেবারে নিশ্চিত করে জানিয়েও দিল। খুব চাপে পড়ে একাজ করেছে পুলিশ। নির্দেশ আছে, তাই ধরতে হবে। ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে গিয়েছে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। তৃণমূলের কাছে অডিয়ো। পুলিশ সুয়োমোটো মামলা করেছে। এখনও পর্যন্ত যা যা হয়েছে, সব পরিকল্পিত।”