RG Kar case: সন্দীপকে ‘মুছে’ ফেলতে চান বনগাঁ হাইস্কুলের সহপাঠীরা
RG Kar case: সন্দীপ ঘোষকে বনগাঁ হাইস্কুলের লজ্জা বলে মন্তব্য করলেন তাঁর এক সহপাঠী। স্কুলের কৃতী পড়ুয়াদের তালিকা নিয়ে তিনি বলেন, "আমাদের স্কুলে একটি বোর্ড রয়েছে। সেখানে স্কুলের সব কৃতী পড়ুয়াদের নাম ও কত সালে পাশ করেছে লেখা থাকে। থাকে তাদের প্রাপ্ত নম্বরও। আমরা আগেই সন্দীপ ঘোষের নাম কৃতী তালিকা থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছি।"
কলকাতা: মাস দুয়েক আগেও স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রকে নিয়ে গর্ব করত বনগাঁ হাইস্কুল। কারণ, তাদের কৃতী ছাত্র তখন কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ। স্কুলে কৃতী পড়ুয়াদের তালিকায় তাঁর নাম জ্বলজ্বল করছে। সেখানে লেখা, ১৯৮৯ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ৭৯.৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন স্কুলের ওই কৃতী ছাত্র। মাস দুয়েক পর সেই ছাত্রকে নিয়েই কিছুটা বিড়ম্বনায় বনগাঁ হাইস্কুল। আর ওই কৃতী ছাত্রর সহপাঠীরা চাইছেন, স্কুলের কৃতী পড়ুয়াদের তালিকা থেকে সরানো হোক সন্দীপ ঘোষের নাম।
বনগাঁ হাইস্কুলে সন্দীপের সহপাঠীরা রবিবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনস্থলে আসেন। আন্দোলনে সংহতি জানাতে এসেছেন তাঁরা। উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগানে গলা মেলালেন। সন্দীপের কথা উঠতেই উষ্মা ঝরে পড়ল তাঁদের গলায়।
সন্দীপ ঘোষকে বনগাঁ হাইস্কুলের লজ্জা বলে মন্তব্য করলেন তাঁর এক সহপাঠী। স্কুলের কৃতী পড়ুয়াদের তালিকা নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের স্কুলে একটি বোর্ড রয়েছে। সেখানে স্কুলের সব কৃতী পড়ুয়াদের নাম ও কত সালে পাশ করেছে লেখা থাকে। থাকে তাদের প্রাপ্ত নম্বরও। আমরা আগেই সন্দীপ ঘোষের নাম কৃতী তালিকা থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছি। এই আবেদন এখন আরও জোরালো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে একমত। নাম সরানো শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।”
তবে সন্দীপ ঘোষকে দিয়ে বনগাঁ হাইস্কুলের মূল্যায়ন করা যায় না জানিয়ে তিনি বলেন, “স্কুলের জন্য লজ্জা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন সন্দীপ। তবে হাতের সব আঙুল সমান হয় না। সন্দীপ ঘোষকে দিয়ে বনগাঁ হাইস্কুলের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। বনগাঁ হাইস্কুল থেকে অনেক কৃতী পড়ুয়া পাশ করেছেন। সেখানে সন্দীপ ঘোষ কিছু নয়। তারপরও তিনি রয়ে যাচ্ছেন। সেই রয়ে যাওয়াটা মুছে ফেলতে চাই আমরা।”
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়। এরপর রাজ্যজুড়ে পথে নামেন সাধারণ মানুষ। বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আন্দোলন চলছে। এদিকে, আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে আগেই সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। শনিবার তিলোত্তমাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। সন্দীপের যত ‘কীর্তি’ সামনে আসছে, ততই যেন অস্বস্তি বাড়ছে তাঁর স্কুলের সহপাঠীদের। স্কুলের কৃতী পড়ুয়াদের তালিকা থেকে তাই চিরতরে সন্দীপের নাম মুছে ফেলার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।