কলকাতা : ডাক বিভাগে লাগছে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের হাওয়া। বর্তমানে একাধিক পরিষেবা অফলাইন থেকে অনলাইন করে দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণটাই গ্রাহকদের বা উপভোক্তাদের সুবিধার জন্য। পোস্ট অফিসে ডাক পরিষেবা ছাড়াও সেভিংস অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নানান কাজ হয়ে থাকে। তার ফলে কোনও ডাক পরিষেবার জন্য পোস্ট অফিসের বাইরে দিতে হয় লম্বা লাইনও। করোনাকালে সেই লাইন ও অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হয়েছে। এবার গ্রাহকদের হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে আসছে ডাক বিভাগের অ্যাপ পরিষেবা। এর ফলে পরিষেবায় যেরকম উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে সেরকমই সুবিধাজন হবে গ্রাহকদের জন্য। এবছর জুন মাসেই সেই অ্য়াপ নিয়ে আসছে ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল (পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামান-নিকোবর)। মঙ্গলবার এই সার্কেলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল জে চারুকেশী জানিয়েছেন জুনেই এই অ্যাপ উদ্বোধনের কথা।
জুন মাসেই ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলে চালু হবে ডাক বিভাগের নতুন অ্যাপ ‘নো ইওর পোস্টম্যান’। এর ফলে লাভবান হবেন উপভোক্তারা। পোস্ট অফিসের বাইরে অপেক্ষার দিন শেষ। কোনও পার্সেল ডেলিভারির মতো পরিষেবা পাওয়া যাবে এই অ্যাপেই। এই অ্যাপ থেকেই পার্সেল বুক করলে পোস্টম্যান বাড়ি গিয়ে পার্সেল নিয়ে আসবেন। প্রথমদিকে কলকাতার চারটি ও হাওড়া ডিভিশনে এই পরিষেবা শুরু হবে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে কলকাতার আটটি প্রধান ডাকঘর এলাকায় ভ্রাম্য়মান পার্সেল ভ্যান নিয়ে এসেছে ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই এলাকাগুলিতে সেই ভ্যান ঘুরছে। কারোর কোনও পার্সেল পাঠানোর দরকার পড়লে সংশ্লিষ্ট নম্বরে ফোন করে বা ডাক বিভাগে যোগাযোগ করে আগাম বুকিং করতে পারেন। সেই ভ্রাম্যমান ভ্যান গ্রাহকের এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তা সংগ্রহ করে নেবে। এই পরিষেবায় ভাল সাড়া মিলেছে বলে দাবি ডাক কর্তাদের। এবার পার্সেল সংগ্রহের সময়ই হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-মেলে রসিদ পাঠানোর জন্য অ্য়াপ তৈরি হয়েছে। সেই অ্যাপ তৈরি করেছেন সার্কেলের প্রযুক্তি বিভাগের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সেল।
পিএমজি (কলকাতা)-র নীরজ কুমার জানিয়েছেন, ‘নো ইওর পোস্টম্যান’ নামের এই পরিষেবার জন্য কলকাতার চাঁদনি চক, নিউ মার্কেট, সার্কাস অ্যাভেনিউ, সল্টলেক, পার্ক সার্কাস, গড়িয়াহাট এলাকায় ভ্রাম্যমান পার্সেল ভ্য়ান চালু হবে খুব তাড়াতাড়ি। উল্লেখ্য, এর আগে মুম্বই পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক এই নো ইওর পোস্টম্যান অ্যাপটি লঞ্চ করেছিল।