লন্ডভন্ড ঘর, গলার নলি কাটা অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার তিলজলায়

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Dec 11, 2020 | 11:56 AM

বৃহস্পতিবার সকালে বারান্দার মেরামতি করার জন্য মিস্ত্রি এসে শ্যামলবাবুকে ডেকেও সাড়া পায়নি। বাধ্য হয়ে এক প্রতিবেশীকে ডেকে আনেন, তিনি দরজায় সামান্য ধাক্কা দিতেই খুলে যায় দরজা। দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন শ্যামলবাবু।

লন্ডভন্ড ঘর, গলার নলি কাটা অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার তিলজলায়
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: ব্যালকনি মেরামতির মিস্ত্রি এসে হাঁক-ডাকের পরও মেলেনি সাড়া। প্রতিবেশী এসে দরজায় ধাক্কা দিতেই খুলে গেল দরজা, দেখা গেল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাড়ির মালিক, ইতিমধ্যে দেহে পচনও শুরু হয়েছে। ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য দেখেই শিউরে ওঠেন প্রতিবেশী, সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন পুলিসে। শহরতলির বুকেই ঘটে গেল এমন চাঞ্চল্যকর খুন (Murder)-র ঘটনা।

বৃহস্পতিবার তিলজলা (Tiljala) থানার কুষ্টিয়া রোডে একটি আবাসন থেকে উদ্ধার করা হয় জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় (৪৫)-র দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটেই খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। দেহের পচন দেখে অনুমান, দু’দিন আগেই খুন করা হয়েছে জয়ন্তবাবুকে।

প্রতিবেশীরা জানান, কুষ্টিয়া রোডের ওই আবাসনের চারতলায় একাই থাকতেন জয়ন্তবাবু, কয়েক বছর আগেই তাঁর মা মারা যান। বৃহস্পতিবার সকালে বারান্দার মেরামতি করার জন্য মিস্ত্রি এসে জয়ন্তবাবুকে ডেকেও সাড়া পায়নি। বাধ্য হয়ে এক প্রতিবেশীকে ডেকে আনেন, তিনি দরজায় সামান্য ধাক্কা দিতেই খুলে যায় দরজা। দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন জয়ন্তবাবু। গোটা ঘর তছনছ, হাট করে খোলা আলমারি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। তিলজলা থানার পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত (Postmortem)-র জন্য পাঠায়।

আরও পড়ুন: করোনার থাবা, এ বছর স্থগিত যাদবপুরের সমাবর্তন

কিছুক্ষণ পরেই হাজির হয় লালবাজার হোমিসাইড শাখা (Lalbazar Homicide Depertment)-র গোয়েন্দারা। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন, নিয়ে আসা হয় পুলিস কুকুরও। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিসি ডিডি স্পেশাল (DC DD Special) দেবস্মিতা দাস। পুলিস জানায়, খুনের কারণ স্পষ্ট না হলেও প্রাথমিক অনুমান লুঠপাটের উদ্দেশ্যেই খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। দেহে পচন ধরায় অনুমান, দুদিন আগেই ঘটেছে খুনের ঘটনা। মৃত ব্যক্তির গোটা ঘর তছনছ অবস্থায় পড়ে ছিল। খোলা ছিল আলমারির দরজা, সারা ঘরে নানা কাগজপত্র ও জামাকাপড় ছড়িয়ে ছিল।

তদন্তকারী গোয়েন্দারা জানান, ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। বিগত কয়েকদিনে আবাসনে কারা এসেছিল, তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আরও জানান, মৃত ব্যক্তির ফোন উধাও। তবে নম্বর ট্রাক করে অপরাধীর খোঁজ চালানো হচ্ছে।

আবাসনের বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার বিকেলেই শেষবার জয়ন্তবাবুকে দেখা গিয়েছিল। তারপর আর ঘর থেকে বেরোতে দেখা যায়নি। কোনও চিৎকার চেঁচামেচিরও শব্দ শোনা যায়নি, তাই কখন কে বা কারা এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সেই বিষয়ে কিছুই টের পাননি তাঁরা।

আরও পড়ুন: সোনা-কাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে অভিষেক-পত্নী রুজিরা

Next Article