কলকাতা: বাংলাদেশগামী বিমানের বোর্ডিং হয়ে গিয়েছে। এক যাত্রীর হাত ব্যাগে মোবাইল ফোনটা দেখে সন্দেহ হয়েছিল আধিকারিকদের। তাঁর দিকে এগিয়ে যান আধিকারিকরা। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন। মোবাইলটিও দেখতে চান। তাতেই পর্দাফাঁস। ওই কাগজে মোড়ানো ছিল দুটো মোবাইল, তাতেই ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ‘সম্পত্তি’র হদিশ। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করল সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)। ৬৫০০০ মার্কিন ডলায় ১৯০০০ কানাডিয়ান ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আটক হয়েছেন তিন বাংলাদেশি যাত্রী। ধৃতদের নাম শফিকুল ইসলাম, মহম্মদ নাসিরুদ্দিন, ফিরোজ আলম।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৫.৪৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী বিমান যাওয়ার সময়ে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন আধিকারিকরা। ব্যাগেজ স্ক্রিনিংয়ের সময়ে সন্দেহ জনক বস্তু দেখতে পান সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মীরা। যাত্রী শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে তাঁর দুটি মোবাইল ফোনের মধ্যে লুকানো ছিল মার্কিন ডলার। ভারতে যার আনুমানিক মূল্য ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। তাঁর কাছ থেকেই আরও দুজন যাত্রীর নাম জানতে পারেন আধিকারিকরা।
সেই সূত্র ধরেই তল্লাশি চলে। মহম্মদ নাসির উদ্দিন নামে অপর আরেক জনকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর জ্যাকেটের ভিতর থেকে কানাডিয়ান ডলার উদ্ধার হয়। ভারতীয় মুদ্রায় তা ১১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা। আবার তাঁর কাছ থেকেই যাত্রী ফিরোজ আলমের খোঁজ পান আধিকারিকরা। তাঁরও ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ট্রাউজারের পকেট থেকে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার হয়। ভারতীয় মুদ্রায় ২৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের আধিকারিকরা ওই তিন যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে শুল্ক দফতরের এয়ার ইন্টেলিজেন্স শাখার আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন। ওই তিন বাংলাদেশি যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার উৎস কোথায়? সেটাই জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।