‘রাজনৈতিক ক্যাডার তৈরি করার চেষ্টা চলছে’, প্রশ্নপত্রে রাজনীতি বিতর্কে এবার দিলীপের সংযোজন

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 24, 2021 | 8:20 AM

Dilip Ghosh: রবিবারই ছিল ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা। সেই প্রশ্নপত্র নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক ক্যাডার তৈরি করার চেষ্টা চলছে, প্রশ্নপত্রে রাজনীতি বিতর্কে এবার দিলীপের সংযোজন
ফাইল চিত্র

Follow Us

কলকাতা: প্রশ্নপত্রে ফের রাজনীতি! আর তা নিয়েই শুরু রাজনৈতিক চর্চা। এবার মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আপনারা জানেন, কীভাবে রাজনৈতিক প্রশ্ন করা হয়েছে। সেই নিয়ে সমাজে আলোচনা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, রবিবারই ছিল ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা। সেই প্রশ্নপত্র নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পরীক্ষায় প্রশ্ন ছিল, ‘কোন বিপ্লবী নেতা জেল থেকে মার্সি পিটিশন বা ক্ষমা প্রার্থনা করেন?’ তার চারটি বিকল্প উত্তর হিসেবে দেওয়া ছিল, ‘ভি ডি সাভারকর’, ‘বি জি তিলক’, ‘শুকদেব থাপার’ ও ‘চন্দ্রশেখর আজাদ’।

বিষয়টির সমালোচনা করতে গিয়ে দিলীপ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এক সময় লাল ছিল, এখন সবুজ হচ্ছে। যারা গেরুয়াকরণের গল্প বলতেন, তাঁরা আজ রাজনৈতিক ক্যাডার তৈরি করার চেষ্টা করছে। স্কুল থেকে ডব্লুবিসিএস- তাঁরা যেন লয়াল হন পার্টির প্রতি। যে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তার জন্য সেখানে পার্টির প্রশ্ন করা হচ্ছে।”

এর আগে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, ‘সাভারকর কখনও মুচলেকা দেননি।’ রাজনৈতিক উদ্দেশে এই প্রশ্ন করা হয়েছে বলে দাবি সায়ন্তনের। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তাপস রায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যাঁরা প্রশ্ন তৈরি করেছেন ও পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাই জবাব দিতে পারবেন।’

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি টুইটে একটি প্রশ্ন নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। প্রশ্নে লেখা ছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্পে কোন শ্রেণিতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ করা হয়।’ এই প্রশ্নেই আপত্তি শুভেন্দুর। তিনি লিখেছেন, ‘ইউপিএসসি পরীক্ষা প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আর এখন ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা পশ্চিমবঙ্গ সরকারি স্কিমের বিজ্ঞাপন করছে।’

উল্লেখ্য, শুধু প্রশ্নপত্র বিতর্কই নয়, স্কুল খোলার বিষয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “স্কুল অনেক জায়গায় খুলে গিয়েছে। ট্রেন চালু হয়েছে। যদি ওঁ মনে করেন যে বিপদ আছে, তাহলে ভোট চাইছেন কেন? সেই কারণেই মনে হচ্ছে কেমন যেন পরস্পরবিরোধী কথা বলছেন। এটা উচিত নয়। যথেষ্ট চিন্তাভাবনা না করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, সোমবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “পুজোর পরই খুলবে স্কুল। তবে কোভিড পরিস্থিতি খারাপ না হলে।” তিনি জানান, সংক্রমণ ১ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আজ ঠিক থাকলেও আগামিকাল কী হবে তা নিয়ে এ ভাবে বলা সম্ভব নয়। সব ঠিকঠাক থাকলে ভাইফোঁটার পরই রাজ্যে স্কুল খোলা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  কোভিড পরিস্থিতি যদি ঠিক থাকে, তবে পুজোর ছুটির পরই একদিন ছাড়া একদিন স্কুলগুলি খোলা হতে পারে বলে জানান তিনি। যদিও এ বিষয়ে একটা ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে। অক্টোবরেই থার্ড ওয়েভ আসবে বলে প্রধানমন্ত্রী দফতরে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। তাতে আরও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা। আরও পড়ুন: তৃতীয় তরঙ্গের মোকাবিলায় শিশু সুরক্ষায় রাজ্য কতটা প্রস্তুত? রইল পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট

Next Article