AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শিরাকোলে কিচ্ছু হয়নি, সব সাজানো ঘটনা: মমতা

ধর্মতলায় কৃষক আন্দোলনের পক্ষে করা সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "শিরাকোলে কিচ্ছুই হয়নি। সব মিথ্যা সহ্য করব না। যদি ছোটো কোনও ঘটনা ঘটেই থাকে, পুলিস তদন্ত করবে।"

শিরাকোলে কিচ্ছু হয়নি, সব সাজানো ঘটনা: মমতা
ফাইল চিত্র
| Updated on: Dec 10, 2020 | 8:38 PM
Share

কলকাতা: শিরাকোলে কিচ্ছু হয়নি… সব সাজানো ঘটনা। ডায়মন্ডহারবারে সভাস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ের ওপর ‘হামলা’ নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) তুলে ধরলেন ‘সাজানো’-তত্ত্বকেই।

ধর্মতলায় কৃষক আন্দোলনের পক্ষে করা সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “শিরাকোলে কিচ্ছুই হয়নি। সব মিথ্যা সহ্য করব না। যদি ছোটো কোনও ঘটনা ঘটেই থাকে, পুলিস তদন্ত করবে।”   একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে কেবল সভাস্থলে পৌঁছতেই কীভাবে এই ধরনের ‘অনভিপ্রেত’ আচরণের শিকার হতে হয়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।  পাশাপাশি যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পুলিসমন্ত্রী, তিনি কীভাবে একটি ঘটনার তদন্ত হওয়ার আগেই ‘কিছু হয়নি’ মন্তব্য করেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিন নাড্ডার কনভয়ের সঙ্গে ছিল পুলিস বাহিনী। ছিলেন উচ্চপদস্থ কর্তারাও। কিন্তু তাঁদেরই সামনে নিমেশের মধ্যে কোথা থেকে জড়ো হয়ে যান কয়েকশো উন্মত্ত যুবক। লাঠিসোঁটা উঁচিতেই দাপাদাপি করতে থাকেন তাঁরা। নাড্ডা ছিলেন গাড়ির ভিতর। দেখা যায়, তাঁরই গাড়িতে পিছন থেকে দৌঁড়ে গিয়ে লাথি মারছেন কয়েকজন। কেউ ইট ছুড়ছেন, কেউ চ্যালা কাঠ হাতে নিয়ে ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসব পেরিয়েই সভাস্থলে উপস্থিত হন নাড্ডা।

যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এর প্রেক্ষিতে আত্মপক্ষে সমর্থনে করা হচ্ছে নানা দাবি। তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “জেপি নাড্ডা যখন গাড়িতে সভাস্থলে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর গাড়ির ভেতর থেকে ভিডিয়ো করে প্রভোকেশন তৈরি করা হচ্ছিল। এটা পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। পাবলিসিটির জন্য এসব করছে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “রাজনীতির নাম করে শান্তিপ্রিয় পশ্চিম বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। এই পরিকল্পনা সফল হবে না।” তিনি বলেন, “ওঁরা নিজেরা নিজেদের গাড়ির কাচ ভাঙলেও অবাক হব না।”

তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ অন্যায় করে থাকলে, দল তা খতিয়ে দেখে শাস্তি দেবে বলেও জানান তিনি। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন. “কেয়ারফুল থাকতে হবে। ফাঁদে পা দিলে চলবে না। কর্মীদের অনুরোধ করব ওঁদের থেকে দূরত্ব রাখার।”

এদিকে, ঘটনার পর রাজ্য পুলিসের তরফ থেকেও একটি টুইট করা হয়। হামলার কথা ঘুরপথে স্বীকার করে পুলিস বলে, “কিচ্ছু হয়নি। নাড্ডা সুরক্ষিত রয়েছেন।” তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, এই টুইটে পুলিস আসলে নিজেদের কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টিই পরোক্ষে মেনে নিল। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, “রাজ্যের শাসকদলের হার্মাদরা যা করল, তা অত্যন্ত নিন্দাজনক, অনভিপ্রেত।”

আরও পড়ুন: বিপক্ষকে পিষে মারার ভাবনাকেই পিষে ফেলতে হবে: নাড্ডা

এদিনই রাজ্য পুলিসের ডিজি, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল। নাড্ডার কনভয়ে হামলা ও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।