Health Commission: তুলো, গজ, ব্যান্ডেজের বিল ২ লক্ষ টাকা! আনন্দপুরে হাসপাতালের বিল দেখে চোখ কপালে উঠল স্বাস্থ্য কমিশনের

Covid19: বারাকপুরের বাসিন্দা ডালিয়া গোস্বামী ২০২১ সালের ১৯ মে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন বেসরকারি হাসপাতালে। ২৯ দিনে ডালিয়াদেবীর পরিবারকে ২৩ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার বিল ধরানো হয়

Health Commission: তুলো, গজ, ব্যান্ডেজের বিল ২ লক্ষ টাকা! আনন্দপুরে হাসপাতালের বিল দেখে চোখ কপালে উঠল স্বাস্থ্য কমিশনের
বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা। ছবি টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2022 | 7:58 PM

কলকাতা: ২৯ দিনে রোগী ১০ লক্ষ টাকার কী ওষুধ খেলেন! অতিমারির সময় বেসরকারি হাসপাতালের বিল দেখে তাজ্জব স্বাস্থ্য কমিশন (Health Commission)। কমিশনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করায় আনন্দপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা (Penalty) করা হল কমিশনের তরফে। একইসঙ্গে রোগীর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বারাকপুরের বাসিন্দা ডালিয়া গোস্বামী ২০২১ সালের ১৯ মে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন বেসরকারি হাসপাতালে। ২৯ দিনে ডালিয়াদেবীর পরিবারকে ২৩ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার বিল ধরানো হয় আনন্দপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৩ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার বিলের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা শুধু ওষুধের বিল। হতবাক হয়ে যান তাঁরা। এরপর চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা, তুলো-ব্যান্ডেজের খরচ দেখে তো কপালে চোখ ওঠার জোগাড়। এরপরই ঘটনা খতিয়ে দেখা হয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে। এরপরই সোমবার জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা বাবদ খরচ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে। গজ, তুলো, ব্যান্ডেজে খরচ হয়েছে ২ লক্ষ টাকা! চেয়ারম্যানের মতে, রোগীর পরিজনের সম্মতি ছাড়া ব্যয়বহুল পরীক্ষা করার‌ও নজির রয়েছে। অতিরিক্ত বিলের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। সবদিক বিচার করে এরপরই ওই বেসরকারি হাসপাতালকে দু’লক্ষ টাকা ফেরানোর নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। একইসঙ্গে এর আগে চারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কথা কানে না তোলায় ওই প্রাইভেট হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ‌ও বিশেষ কেস হিসাবে ডালিয়াদেবীর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ডালিয়া গোস্বামী আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড এবং অন্যান্য কোমর্বিডিটি নিয়ে ভর্তি হন। ২০২১ সালের ১৯ মে থেকে ১৭ জুন ২০২১ পর্যন্ত ২৯ দিন এখানে ভর্তি ছিলেন। ওনার নানা সমস্যা হয়। ২৩ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা বিল হয় ২৯ দিনে। সবচেয়ে অদ্ভূত কথা হচ্ছে এই ২৩ লক্ষ ৬৪ হাজারের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা শুধু ওষুধ। সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা পরীক্ষানিরীক্ষা। আমরা খতিয়ে দেখেছি গোটা বিল। তাতে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বেশি বিল করা হয়েছে। ইনসিওরেন্স কভারেজের জন্য ৬০ শতাংশ রোগীর পরিবারকে দিতে হয়েছে। আমরা ৩ লক্ষ ৩০ হাজারের গড়ে ২ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে বলেছি। আরও ৫০ হাজার জরিমানা করেছি কারণ এত টাকার ওষুধের কোনও ব্যাখ্যা আমরা পাইনি। একটা খুব দামী পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু এর জন্য কোনও লিখিত রোগীর পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। এমন একটা পরীক্ষা চার বার করা হয়েছে যার কোনও যুক্তিই নেই বলে আমাদের ডাক্তারবাবুরা বলেছেন। যিনি প্রিন্সিপাল ডাক্তার ওই হাসপাতালের তিনিও বলেছেন, এটা কেন হয়েছে তিনি জানেন না।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা