Poush Mela: বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতি দিল না হাইকোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Dec 06, 2022 | 6:00 PM

বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল হলে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকেও জেলাশাসক বলেছিলেন, "প্রয়োজন হলে রবীন্দ্র-ঐতিহ্যকে বাঁচাতে আমরা মেলা করব।"

Poush Mela: বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতি দিল না হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: এবারেও বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলা হচ্ছে না! বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতি দিল না আদালত। এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে বিশ্বভারতীর মাঠে সুপ্রাচীন পৌষমেলা ইতিহাস হতে চলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলার জন্য মাঠ দিতে রাজি নয়। এদিকে, বিশ্বভারতীর নির্দিষ্ট মাঠে মেলা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তারই শুনানিতে এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতির আবেদন খারিজ করে দিয়ে মামলা ফিরিয়ে দেয়। এব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিনই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পৌষমেলায় মাঠ দেওয়ার ব্যাপারে লিখিত আকারে তাদের বক্তব্যের কথা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই বক্তব্যের পরই পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত।

তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে কোনভাবেই পৌষমেলার জন্য মাঠ দিতে রাজি নয়, তা একপ্রকার স্পষ্ট। সম্প্রতি পৌষমেলা নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে বৈঠকটি আয়োজিত হলেও সেখানে গরহাজির ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিকে, মেলা থেকে যাতে দূষণ না ছড়ায়, সে ব্যাপারে বহুবার বিশ্বভারতীকে সতর্কবার্তা দিয়েছে পরিবেশ আদালত, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। যদিও বিশ্বভারতীর দাবি, মেলার ব্যবসায়ীরা পরিবেশ আদালতের শর্ত অমান্য করেন এবং তার জেরেই দূষণ ছড়ায়। এছাড়া মেলার ফলে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয় বলে অভিযোগ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। সেজন্যই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলার জন্য মাঠ দিতে বা পৌষমেলার দায়িত্ব নিতে নারাজ বলে সূত্রের খবর।

তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মাঠ না দিলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্য পৌষমেলা বন্ধ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল হলে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকেও জেলাশাসক বিধান রায় বলেছিলেন, “প্রয়োজন হলে রবীন্দ্র-ঐতিহ্যকে বাঁচাতে আমরা মেলা করব।” ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে পৌষমেলার জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান করা শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে, বিশ্বভারতীর মাঠ না পেলে ডাকবাংলোর মাঠেই পৌষমেলা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে শেষবার বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার মেলা শেষে দূষণ ছড়িয়েছে বলে জোর বিতর্ক শুরু হয়। পরিবেশ আদালতে মামলাও ওঠে। তারপর থেকেই পৌষমেলার জন্য মাঠ দিতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও ২০২০ সালে করোনা মহামারীর জন্য পৌষমেলা হয়নি। গতবছর অর্থাৎ ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় পৌষমেলার আয়োজন করা হলেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মাঠ দেয়নি। বীরভূম সংস্কৃতি মঞ্চের তরফে ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করা হয়। বিশ্বভারতী ট্রাস্ট এই মেলায় কোনরকম সহায়তা না করলেও স্থানীয় বিধায়ক থেকে জেলা প্রশাসনও এই মেলা করার ব্যাপারে সমর্থন করেছেন বলে সূত্রের খবর।

Next Article