কলকাতা: বাংলার ৩ আইপিএস অফিসারকে ডেপুটেশনে (IPS DEputation) পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আর এই নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য। ফলে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত যে চরমে পৌঁছতে চলেছে, তা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর, আইপিএস রুল ৬(১) ধারার ওপরই ভিত্তিত করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য। এই ধারা অনুযায়ী, কেন্দ্র যে কোনও আইপিএস অফিসারকে ডেপুটেশনে পাঠাতে পারে। কিন্তু রাজ্যের দাবি, এই ধারাতে এও বলা রয়েছে, রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের ডেপুটেশনে পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্র একবার সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। কিন্তু বাংলার তিন আইপিএস অফিসারকে ডেপুটেশনে পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনাতেই বসেনি। এক্ষেত্রে রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী।
মূলত, এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য। যদিও আইনজ্ঞদের একাংশের মত, এই ধরনের মামলা সাধারণত সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল-এ শোনা হয়। তবে CAT এর বিচারপতিরা এখন আন্দামানে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তড়িঘড়ি বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, ডায়মন্ডহারবারে নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে ডে পুটেশনে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আইজি দঙ্গিণবঙ্গ রাজীব মিশ্রকে ৫ বছরের জন্য ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিস বা ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিসে (আইটিবিপি)-তে পাঠানো হয়েছে। ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীকে ৫ বছরের জন্য সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি-তে পাঠানো হয়েছে। ডায়মন্ডহারবার এসপি ভোলানাথ পাণ্ডেকে, ৩ বছরের জন্য পাঠানো হয়েছে ব্যুরো অফ পুলিস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বিভাগে।
আরও পড়ুন: বাংলার বিজেপি নেতাদের আপাতত গ্রেফতার নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লিখেছেন, “রাজ্য প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে দেব না। পশ্চিমবঙ্গ অগণতান্ত্রিক শক্তির সামনে নতিস্বীকার করবে না।”