কলকাতা: দুয়ারে কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। বাজারে বাড়ছে ভিড়। তৎপরতা বেড়েছে রেল থেকে মেট্রোর। পুজোর আবহে সুষ্ঠভাবে নাগরিক পরিষেবা দিতে তৎপর কলকাতা পুরনিগমও। পুজোর দিনগুলিতে জল সরবরাহের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বৈঠকে। চলতি বছরের দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট মেনে তিথি শুরু ভোরবেলায়। তাই নাগরিকদের কথা ভেবে পুজোর চার দিন ভোর তিনটে থেকে পানীয় জল সরবরাহ করবে কলকাতা পুরসভা। মেয়র জানিয়েছেন, পুজোর তিথি শুরু ভোরে। তাই নাগরিক-স্বার্থে পুজোর চার দিন ভোর তিনটেয় পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি, পুজোর শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সমস্ত রাস্তার গাছ বৈজ্ঞানিক উপায়ে যাতে ছাঁটার ব্যবস্থা করা হয়, সে বিষয়ে পুর উদ্যান বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গঙ্গার ঘাটগুলিতে প্রতি বছরের মতো কড়া নজরদারি চালাতেও বলা হয়েছে। ওই সময়ে চক্ররেল চলাচল যাতে বন্ধ থাকে সে বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি পুজোর আগে কলকাতার রাস্তা মেরামতি নিয়ে হয় বিশেষ বৈঠক। সেখানেও এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি সংস্থার অনেক প্রতিনিধিই ছিলেন। সেখানেই পুজোর মুখে শহর পরিষ্কার করতেও দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশ।
কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে জঞ্জাল সাফাইয়ের ব্যাপারে গোটা কলকাতাকে বেশ কয়েকটি অংশে ভাগ করে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে সাফাইয়ের কাজ করতে সুবিধা হয় সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা। রাস্তা পরিষ্কারে মাঠে নামানো হচ্ছে কলকাতা পুরসভার আধুনিক যন্ত্র। থাকছেন ১০০ দিনের সাফাই কর্মীরা।
একইসঙ্গে শহরের বাতিস্তম্ভগুলির কী অবস্থা হয়েছে, সেগুলিও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আদিগঙ্গা লাগোয়া একাধিক বাতিস্তম্ভের তার বিপজ্জনকভাবে খোলা অবস্থায় রয়েছে বলে এদিনের বৈঠকে উঠে আসে। এগুলি দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলো বিভাগের ডিজিকে। কারণ, গঙ্গার জল বৃদ্ধি পেলে আদি গঙ্গায় জল স্তর বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে জল রাস্তায় উঠে এলে বিপজ্জনকভাবে খুলে থাকা তারগুলির সংস্পর্শে জল পৌঁছলেই বড়সড় বিপত্তি ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। সে কারণে দ্রুত সেগুলি মেরামত করা নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।