কলকাতা: কলকাতা পুরনিগম এলাকার বেশ কিছু কাজ নিয়ে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন নবান্নে স্বাস্থ্য দফতরের পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। সেই সময়েই শহরের সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরনিগমকে (Kolkata Municipal Corporation) প্রিন্সেপ ঘাট (Princep Ghat) এলাকা সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আমাকে রোজ রোজ বলতে হবে কেন? কেন রোজ মনিটরিং হবে না? উদ্যানের মেয়র পারিষদের এটা দেখা উচিত নয়? যেন বাচ্চা ছেলে। রোজ ললিপপ দিতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর এদিন সন্ধেয় প্রিন্সেপ ঘাট থেকে জাজেস ঘাট পর্যন্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
সেই পরিদর্শন শেষে কলকাতা পুরনিগমে এসে বেজায় বিরক্তি কলকাতার মহানাগরিকের চোখেমুখে। বললেন, “বারবার বলেও কাজ হয়নি। পুলিশ এবং পুরনিগমের আধিকারিকদের একাংশ মুখ হা করে থাকেন কাজ করার বদলে। যে কারণে আজ এই ঘটনা ঘটে গেল। পোর্টকে বলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। এবার আমায় নামতে হবে কাজ করতে। পোর্ট অসহযোগিতা করলে, কাজ করতে গিয়ে যদি জেলে যেতে হয়, যাব।” প্রসঙ্গত, নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর প্রিন্সেপ ঘাট চত্বর ঘুরে দেখেছে টিভি নাইন বাংলাও। আদতে কী অবস্থা গঙ্গা তীরবর্তী প্রিন্সেপ ঘাটের? খোঁজখবর নিতে গিয়ে দেখা গেল, ঠাকুরের কাঠামো, গাছের পাতা, প্লাস্টিকের বোতল সহ বিভিন্ন আবর্জনায় ভরে গেছে এলাকা। এমন অবস্থা ঘুরে দেখার পর মেয়রের মেজাজ এমন গরম হওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।
প্রিন্সেপ ঘাট এলাকার যেখানে মানুষের ভিড় হয়, তার তীরবর্তী এলাকায় গঙ্গার ধারে গজিয়ে উঠেছে আবর্জনার স্তূপ। কোথাও থার্মোকল, কোথাও কচুরিপানা আরও বিভিন্ন আবর্জনায় স্তূপাকার হয়ে রয়েছে তীরবর্তী এলাকা। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কতটা তৎপর হয় কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ।