কলকাতা: নারদ মামলায় (Narada Case) চার হেভিওয়েটের গৃহবন্দি থাকার নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হতে চলেছে সিবিআই (CBI)। ‘হাউজ় এরেস্ট’ বাতিলের দাবিতে সোমবারই তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে চলেছে। আজই শুনানির আবেদন করা হবে। সিবিআই-এর দাবি, তদন্তের স্বার্থে চার হেভিওয়েটকে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে রাখা হোক।
পাশাপাশি আজই হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের নজরে আনা হবে TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ ফুটেজের বিষয়। যেখানে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ধৃত ৩ অভিযুক্তকে হেঁটে চলে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ‘অসুস্থ’ নেতারা কি করে এমনভাবে ঘুরে বেরাচ্ছেন? বৈশাখী সেখানে কি করছেন? ফুটেজ দেখিয়ে প্রশ্ন তুলবে সিবিআই।
নারদ মামলার তদন্তে শুক্রবার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয়। এই বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই শুনানি।
নিয়ম অনুযায়ী এই মামলার বিচারপর্ব যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, আইনজীবীদের যাঁর যা বক্তব্য ছিল, সেই সমস্ত নিয়েই মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। কারণ, এই বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় আইনজীবীদের বক্তব্য কিছুটা শুনলেও বাকি তিনজন বিচারপতির নাম নতুন সংযোজিত হয়েছে। ফলে নারদ মামলা নিয়ে আইনজীবীদের বক্তব্য তাঁদের কাছে তুলে ধরা হবে। যা বিচারপর্ব এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছি’, সোনালির পর এবার তৃণমূলে ফিরতে চান সরলা মুর্মু
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার শুনানিতে শুরু থেকেই হেভিওয়েটদের জামিনের বিষয়টিতে দুই বিচারপতির মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেস বিন্দাল তাঁদের গৃহবন্দি রাখার পক্ষে ছিলেন, অপর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জামিন দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ, দুই বিচারপতির মতপার্থক্য হওয়ায় মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে যায়।