Haridevpur Electrocution: বারবার এক ঘটনা, বৈঠকে মেজাজ হারালেন ফিরহাদ; কাজে ঢিলেমি হলে এবার আর রেয়াত নয়, দিলেন বার্তা
Haridebpur: হরিদেবপুরের যে এলাকায় নীতীশের মৃত্যু হয়েছে, সেখানে প্রত্যেক বছর বর্ষাকালে হাঁটু সমান জল জমে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার লোকজন।
কলকাতা: হরিদেবপুরকাণ্ড নিয়ে কলকাতা পুরনিগমে বৈঠক। সেই বৈঠকে মেজাজ হারালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রবিবার সন্ধ্যায় হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। এর আগেও শহর কলকাতা এই ঘটনা দেখেছে। বৃষ্টিতে জল জমলেই এই বিপদের চোখ রাঙানি। সোমবার তা নিয়েই বৈঠকে বসেন কলকাতার মেয়র। সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে তিনি যে নির্দেশ দিচ্ছেন, তা নিকাশি বিভাগ এবং আলো বিভাগ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এরপরই পুরআধিকারিকদের রীতিমত ভর্ৎসনা করতে করেন মেয়র।
এমনকী সিইএসসির নিজেদের বাতিস্তম্ভ এবং মিটার বক্সগুলির বেহাল দশা নিয়েও রীতিমত ক্ষুব্ধ ফিরহাদ হাকিম। যে কারণে এদিন সরাসরি তিনি পুরসভার আধিকারিকদের বলে দেন, এক থেকে দেড় মাস তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তাঁর নির্দেশ মান্যতা দেওয়া হচ্ছে কি না, তা তিনি নিজে রাস্তায় নেমে দেখবেন। কারও উপর ভরসা রাখতে পারছেন না কলকাতার মেয়র। এমনকী তিনি তথ্য হিসাবে সমস্ত কিছু লিপিবদ্ধ করারও নির্দেশ দেন এদিন। রীতিমত বিরক্ত তিনি। এবার আর কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না। মেয়রের স্পষ্ট বার্তা, প্রয়োজনে চিফ ম্যানেজার বা ডিজিকে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ থেকে সরাসরি কম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
হরিদেবপুর থানা এলাকার ৩৪/বি হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোড। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেখানকার বাসিন্দা নীতীশ যাদব বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে যাচ্ছিল প্রসাদ দিতে। এরইমধ্যে রাস্তার জমা জল পার করতে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দেয় শিশুটি। এরপরই ইলেকট্রিক শক লাগে। ছিটকে পড়ে রাস্তায়। মুহূর্তে সব শেষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তাতেই পড়েছিল সে। এরপর বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীরা এসে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শিশুটিকে উদ্ধার করে। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
হরিদেবপুরের যে এলাকায় নীতীশের মৃত্যু হয়েছে, সেখানে প্রত্যেক বছর বর্ষাকালে হাঁটু সমান জল জমে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার লোকজন। বর্ষা হলেই জল ঢুকে যায় ঘরের ভিতর। তাই সেই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য এখানকার বেশকিছু বাড়ির একতলার ঘরের মেঝের উচ্চতা বাড়াচ্ছে। কেউ ২ ফুট, কেউ বা ৩ ফুট উচ্চতা বাড়াচ্ছেন যাতে জল জমার সমস্যা থেকে বাঁচতে পারেন। কাউন্সিলরকে বারবার বলার পরও সমস্যা মেটেনি বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা।