সায়ন্ত ভট্টাচার্য: শহরে একের পর এক বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ছে। বাড়ছে আতঙ্ক। শহরে টানা বৃষ্টি হলে বা ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে এই বিপজ্জনক বাড়িগুলি হয়ে ওঠে আশপাশের বাসিন্দাদের কাছে উদ্বেগের কারণ। এই বাড়িগুলি সংস্কারের জন্য কলকাতা পুর আইনের বিল্ডিং আইনের ৪১২ ধারায় সংশোধনী আনা হয়েছিল বছর তিনেক আগে। সেই সংশোধনী ৪১২ (এ) ধারায় শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে সেখানকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরসভা (KMC)। আশা করা হয়েছিল, ভাড়াটে এবং বাড়িওয়ালারা এই সংশোধনীতে এগিয়ে আসবেন এবং বিপজ্জনক বাড়ি সংস্কারে সাহায্য করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য চিত্র। বেশিরভাগ বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে এগিয়ে এলেন না। মাত্র ৬৮টি বিপজ্জনক বাড়ি সংশোধনী আইনে সংস্কার হল। এদিকে শহরে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ। আগের সংশোধনীতে তেমন কাজ না হওয়ায় এবার সংশোধনীর সংশোধনী আনতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম। বিল্ডিং আইনের ৪১২ (এ) ধারার সংশোধনী আনার জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে ফাইল পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে বিধানসভায় তুলে সংশ্লিষ্ট ধারার সংশোধনীর সংশোধনী আনা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি এও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিপজ্জনক বাড়িগুলি সংস্কারে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
কলকাতা পুরনিগমের গত অধিবেশনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলোরা সাহা নিজের সবথেকে বেশি বিপজ্জনক বাড়ির দুরাবস্থা এবং ভেঙে পড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গোটা কলকাতা শহরে যে পরিমাণ বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে, তার মধ্যে ৪০-৪৫ শতাংশ শুধুমাত্র ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট বা নিমতলা ঘাট স্ট্রিট এলাকায়। বিষয়টি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক তা স্বীকার করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তিনি জানিয়েছিলেন, এই বিপজ্জনক বাড়িগুলি কলকাতার বুকে সত্যি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এগুলি সংস্কারে এবার ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপরই তিনি ৪১২ (এ) ধারার সংশোধনী আনার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারপরই কলকাতা পুরপ্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে। বিল্ডিং আইনের ৪১২ ধারার সংশোধনী আনা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, বিপজ্জনক বাড়িটি ভেঙে মালিক যাতে নতুন বাড়ি তৈরি করে তার সুযোগ করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ফ্লোর এরিয়া রেশিও ছাড় দেওয়া হবে মালিককে। মালিক যদি বাড়ি না ভাঙে তাহলে ভাড়াটেরা করবে। ভাড়াটেরা না করলে পুরসভা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে এই কাজ কাজ করাবে। কিন্তু তারপরেও বিষয়টি শুধু খাতায় কলমে রয়ে গিয়েছে। যার জেরে বিপজ্জনক বাড়িতেই প্রাণ হাতে করে এখনও বসবাস করেন বাসিন্দারা।
পুরসভার তথ্য বলছে, শহরের বুকে ২৭০০টি এরকম পুরনো বাড়ি রয়েছে। যার মধ্যে ১৫০টি অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায়। এক পুরকর্তার কথায়, “এতে সমস্যা হল, বললেই বসবাসের অযোগ্য (কনডেমড) বলা যায় না। সে ক্ষেত্রে বাড়ির মালিককে সুযোগ দিতে হয়। শুনানি করতে হয়। প্রায় দু’বছর ধরে সে ভাবে শুনানিই করা যাচ্ছে না।” ওই পুরকর্তা জানাচ্ছেন, ১৪২ নম্বর পুর আইন এ ক্ষেত্রে আরও কার্যকর। তাঁর কথায়, “আইন বলছে, ভাড়াটেরা যে জায়গা ভোগ করছেন, সেই সমপরিমাণ জায়গা ছাড় হিসেবে পেতে পারেন বাড়ির মালিক। কিন্তু সমস্যা হল, মালিককে সুবিধা দিতে গিয়ে চারপাশের ছাড়ের জায়গা কমে যাচ্ছে। দমকল আপত্তি করছে। জট পাকিয়ে যাচ্ছে।”
বিপজ্জনক বাড়ি সবথেকে উদ্বেগের কারণ সেটির আশপাশে থাকা প্রতিবেশীদের। কারণ টানা বৃষ্টি ঝড় হলে আশপাশের বাড়িগুলির ওপর তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। শহরে বাড়ি ভেঙে হতাহতের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কলকাতা শহরের মত পুরনো এই মহানগরে প্রাচীন বাড়ির সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এমন অবস্থায় নতুন নতুন আইন শুধু পথ নয় বলে মনে করেন প্রশাসনিক কর্তারা। বিপজ্জনক বাড়ি শহর থেকে একেবারে নির্মূল করতে পুরনিগমকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পথ খুঁজে নিতে হবে বলেই তাঁরা মনে করেন। কারণ কারও উদাসীনতা অন্যজনের বিপদের কারণ হতে পারে এই আশঙ্কা যখন থাকছে পুর প্রশাসনকে কড়া হাতে এই বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করেন সমাজের সব মহলের কর্তারা।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা নিয়ে আমাদের আইনজ্ঞদের সঙ্গে এবং কলকাতা পুরনিগমের আইন দফতরের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে ভাবনাচিন্তা করছি। কমিশনারকে আমি বলেছি। আইনটা আমরা করতে পারি কিন্তু এটা একটা সামাজিক সমস্যা। আইন তৈরি করা সরকারের কাজ। কিন্তু রাইট টু প্রপার্টি সংবিধানে রয়েছে মৌলিক অধিকার। এবার রাইট টু লিভ অর্থাৎ জীবনের অধিকার সেটাও সংবিধানে রয়েছে এই দু’টোতেই দ্বন্দ্ব হচ্ছে। রাইট টু প্রপার্টি এবং রাইট টু লিভ এই দু’টোর মধ্যে যাবতীয় দ্বন্দ্ব। এই দু’টোর মাঝখানে আইনের একটা রাস্তা বার করতে হবে।”
অন্যদিকে দি ক্যালকাটা হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রক্ষিতের বক্তব্য, “গতবার কলকাতা পুরনিগম বিল্ডিং আইনে সংশোধনী এনে ছিল। সেখানে আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। সংস্কার করতে গিয়ে আরও জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে পুরনিগম। এবার যে সংশোধনী আনতে চলেছে সেখানে যদি আমাদের মতামত না নেওয়া হয় তাহলে আমরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।”
** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী
** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার
সায়ন্ত ভট্টাচার্য: শহরে একের পর এক বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ছে। বাড়ছে আতঙ্ক। শহরে টানা বৃষ্টি হলে বা ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে এই বিপজ্জনক বাড়িগুলি হয়ে ওঠে আশপাশের বাসিন্দাদের কাছে উদ্বেগের কারণ। এই বাড়িগুলি সংস্কারের জন্য কলকাতা পুর আইনের বিল্ডিং আইনের ৪১২ ধারায় সংশোধনী আনা হয়েছিল বছর তিনেক আগে। সেই সংশোধনী ৪১২ (এ) ধারায় শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে সেখানকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরসভা (KMC)। আশা করা হয়েছিল, ভাড়াটে এবং বাড়িওয়ালারা এই সংশোধনীতে এগিয়ে আসবেন এবং বিপজ্জনক বাড়ি সংস্কারে সাহায্য করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য চিত্র। বেশিরভাগ বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে এগিয়ে এলেন না। মাত্র ৬৮টি বিপজ্জনক বাড়ি সংশোধনী আইনে সংস্কার হল। এদিকে শহরে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ। আগের সংশোধনীতে তেমন কাজ না হওয়ায় এবার সংশোধনীর সংশোধনী আনতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম। বিল্ডিং আইনের ৪১২ (এ) ধারার সংশোধনী আনার জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে ফাইল পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে বিধানসভায় তুলে সংশ্লিষ্ট ধারার সংশোধনীর সংশোধনী আনা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি এও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিপজ্জনক বাড়িগুলি সংস্কারে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
কলকাতা পুরনিগমের গত অধিবেশনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলোরা সাহা নিজের সবথেকে বেশি বিপজ্জনক বাড়ির দুরাবস্থা এবং ভেঙে পড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গোটা কলকাতা শহরে যে পরিমাণ বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে, তার মধ্যে ৪০-৪৫ শতাংশ শুধুমাত্র ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট বা নিমতলা ঘাট স্ট্রিট এলাকায়। বিষয়টি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক তা স্বীকার করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তিনি জানিয়েছিলেন, এই বিপজ্জনক বাড়িগুলি কলকাতার বুকে সত্যি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এগুলি সংস্কারে এবার ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপরই তিনি ৪১২ (এ) ধারার সংশোধনী আনার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারপরই কলকাতা পুরপ্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে। বিল্ডিং আইনের ৪১২ ধারার সংশোধনী আনা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, বিপজ্জনক বাড়িটি ভেঙে মালিক যাতে নতুন বাড়ি তৈরি করে তার সুযোগ করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ফ্লোর এরিয়া রেশিও ছাড় দেওয়া হবে মালিককে। মালিক যদি বাড়ি না ভাঙে তাহলে ভাড়াটেরা করবে। ভাড়াটেরা না করলে পুরসভা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে এই কাজ কাজ করাবে। কিন্তু তারপরেও বিষয়টি শুধু খাতায় কলমে রয়ে গিয়েছে। যার জেরে বিপজ্জনক বাড়িতেই প্রাণ হাতে করে এখনও বসবাস করেন বাসিন্দারা।
পুরসভার তথ্য বলছে, শহরের বুকে ২৭০০টি এরকম পুরনো বাড়ি রয়েছে। যার মধ্যে ১৫০টি অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায়। এক পুরকর্তার কথায়, “এতে সমস্যা হল, বললেই বসবাসের অযোগ্য (কনডেমড) বলা যায় না। সে ক্ষেত্রে বাড়ির মালিককে সুযোগ দিতে হয়। শুনানি করতে হয়। প্রায় দু’বছর ধরে সে ভাবে শুনানিই করা যাচ্ছে না।” ওই পুরকর্তা জানাচ্ছেন, ১৪২ নম্বর পুর আইন এ ক্ষেত্রে আরও কার্যকর। তাঁর কথায়, “আইন বলছে, ভাড়াটেরা যে জায়গা ভোগ করছেন, সেই সমপরিমাণ জায়গা ছাড় হিসেবে পেতে পারেন বাড়ির মালিক। কিন্তু সমস্যা হল, মালিককে সুবিধা দিতে গিয়ে চারপাশের ছাড়ের জায়গা কমে যাচ্ছে। দমকল আপত্তি করছে। জট পাকিয়ে যাচ্ছে।”
বিপজ্জনক বাড়ি সবথেকে উদ্বেগের কারণ সেটির আশপাশে থাকা প্রতিবেশীদের। কারণ টানা বৃষ্টি ঝড় হলে আশপাশের বাড়িগুলির ওপর তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। শহরে বাড়ি ভেঙে হতাহতের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কলকাতা শহরের মত পুরনো এই মহানগরে প্রাচীন বাড়ির সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এমন অবস্থায় নতুন নতুন আইন শুধু পথ নয় বলে মনে করেন প্রশাসনিক কর্তারা। বিপজ্জনক বাড়ি শহর থেকে একেবারে নির্মূল করতে পুরনিগমকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পথ খুঁজে নিতে হবে বলেই তাঁরা মনে করেন। কারণ কারও উদাসীনতা অন্যজনের বিপদের কারণ হতে পারে এই আশঙ্কা যখন থাকছে পুর প্রশাসনকে কড়া হাতে এই বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করেন সমাজের সব মহলের কর্তারা।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা নিয়ে আমাদের আইনজ্ঞদের সঙ্গে এবং কলকাতা পুরনিগমের আইন দফতরের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে ভাবনাচিন্তা করছি। কমিশনারকে আমি বলেছি। আইনটা আমরা করতে পারি কিন্তু এটা একটা সামাজিক সমস্যা। আইন তৈরি করা সরকারের কাজ। কিন্তু রাইট টু প্রপার্টি সংবিধানে রয়েছে মৌলিক অধিকার। এবার রাইট টু লিভ অর্থাৎ জীবনের অধিকার সেটাও সংবিধানে রয়েছে এই দু’টোতেই দ্বন্দ্ব হচ্ছে। রাইট টু প্রপার্টি এবং রাইট টু লিভ এই দু’টোর মধ্যে যাবতীয় দ্বন্দ্ব। এই দু’টোর মাঝখানে আইনের একটা রাস্তা বার করতে হবে।”
অন্যদিকে দি ক্যালকাটা হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রক্ষিতের বক্তব্য, “গতবার কলকাতা পুরনিগম বিল্ডিং আইনে সংশোধনী এনে ছিল। সেখানে আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। সংস্কার করতে গিয়ে আরও জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে পুরনিগম। এবার যে সংশোধনী আনতে চলেছে সেখানে যদি আমাদের মতামত না নেওয়া হয় তাহলে আমরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।”
** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী
** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার