কলকাতা : নজরুল মঞ্চের পরিবেশ নাকি কলেজ কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থা, কেকে-র মৃত্যুর জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিকরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সরব হয়ে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এরপরই তৎপর হল প্রশাসন। শুক্রবার কলেজ ফেস্ট নিয়ে লালবাজার তথা কলকাতা পুলিশের তরফে দেওয়া হল বিশেষ নির্দেশিকা।
ইতিমধ্যেই নজরুল মঞ্চে কলেজের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে। অনেক কাউন্সিলরই এলাকার কলেজগুলিকে ওই মঞ্চ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন। আর এবার পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানানো হল, বদ্ধ জায়গায় অনুষ্ঠান করতে গেলে কী কী করতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
১. ইন্ডোর অর্থাৎ বদ্ধ জায়গায় যে কোনও অনুষ্ঠান করতে গেলে রাখতে হবে অ্যাম্বুল্যান্স ও চিকিৎসকের ব্যবস্থা।
২. এছাড়া মঞ্চে কতজন শিল্পী ও যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী থাকবেন, সেই তথ্য জানাতে হবে পুলিশকে।
৩. কত পাস বা টিকিট আছে তাও স্পট করে জানাতে হবে পুলিশকে।
৪. একইসঙ্গে ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ভিতরে ও বাইরে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. এইসব শর্ত মানলে তবেই অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের অনুমতি মিলবে না হলে অনুমতি মিলবে না।
লালবাজার সূত্রে খবর, এই নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে শহরের কলেজে কলেজে। এবার থেকে কলেজ ফেস্টের ক্ষেত্রে এই সব শর্ত মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে তবেই অনুমতি দেবে পুলিশ।
আসলে কেকে-র অনুষ্ঠান ঘিরে সামনে এসেছে একাধিক অভিযোগ। প্রথমত নজরুল মঞ্চে ২৭০০ লোকের জায়গা থাকলেও সেখানে অন্তত ৭০০০ শ্রোতা প্রবেশ করেছিল বলে অভিযোগ। আর সেই কারণেই সম্ভবত হলের এসি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। বিরোধীদের দাবি, ওই পরিবেশের জন্যই মৃত্যু হয়েছে কেকে-র। কিন্তু শাসক দল বলছে, ওই ঘটনা নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই। তবে প্রকাশ্যে শাসক দলের কেউ স্বীকার না করলেও আদতে যে সতর্ক হতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।