Kolkata Police: কারওর চোখে লেগেছে, কেউ এখনও হাসপাতালে! পুলিশি ‘সক্রিয়তায়’ কতটা থিতু অভিযান?
Kolkata Police: পুলিশি মহল সূত্রে খবর, গোটা দিনের এই উত্তেজনায় আহত হয়েছেন মোট পাঁচজন পুলিশ কর্মী। যাদের মধ্য়ে ২ জনকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, ৩ জন এখনও একটি হাসপাতালেই চিকিৎসারত রয়েছেন।

কলকাতা: কেটে গিয়েছে গোটা দিন। নবান্ন অভিযান কিংবা কালীঘাট অভিযান, তা কতটা স্বার্থক, সেই নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্কের জায়গা রয়েছে। গোটা দিনজুড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী শিবির। দেখা গিয়েছে পুলিশ প্রস্তাবিত বা নির্ধারিত বিকল্প এলাকার বাইরেও মিছিল হয়েছে। যার পাল্টা ‘পদক্ষেপ’ও নিতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা পুলিশকে।
সূত্রের খবর, শনিবার গোটা দিন জুড়ে পুলিশি রেজিস্টারে দায়ের হয়েছে মোট ৭টি মামলা। তবে এই প্রত্যেকটি মামলা কী কী আইনের ধারায় রুজু হয়েছে কিংবা কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়েছে কিনা সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিন একদিকে নবান্ন চত্বর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। অন্যদিকে কালীঘাট সংলগ্ন এলাকায় ‘আকাশছোঁয়া’ ব্যারিকেড বসাতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। বলা চলে, বিগত কয়েক মাসের অভিযান, মিছিল আটকাতে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের ‘সঙ্গী’ হয়েছে এই প্রাচীরের মতো ব্যারিকেডগুলি। কিন্তু তাতে কি আন্দোলনের তোড় সম্পূর্ণ ভাবে রোখা যায়? কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে ব্যারিকেডকে ‘অগ্রাহ্য’ করে তাতে বেয়ে উঠছেন আন্দোলনকারীরা। কোথাও আবার সরাসরি পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা, পরে হাতাহাতিতে নেমেছেন প্রতিবাদীরা।
পুলিশি মহল সূত্রে খবর, গোটা দিনের এই উত্তেজনায় আহত হয়েছেন মোট পাঁচজন পুলিশ কর্মী। যাদের মধ্য়ে ২ জনকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, ৩ জন এখনও একটি হাসপাতালেই চিকিৎসারত রয়েছেন। একজন পুলিশের আবার চোখে আঘাত বলেও খবর। তবে দিনশেষে পুলিশি ব্যারিকেডেই থমকেছে অভিযান।
কিন্তু প্রতিবাদীরা তারা কত জন আহত হলেন? তিলোত্তমার মায়ের অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে লাঠিপেটা করেছে। তাঁর মাথায় মেরেছে। তাঁকে ফেলেও দিয়েছে। এমনকি, মারধর করা হয়েছে তিলোত্তমার বাবাকেও। যদি এই সকল অভিযোগকে নস্যাৎ করেছে পুলিশ। ক্ষয়ক্ষতির একটা হিসাব তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারিও।
এদিন তিনি বলেন, “আন্দোলকারীদের কারও হাতে একটাও লাঠি ছিল না। একটা লোকের হাতেও ইট-পাথর ছিল না। ওরা ইলেকট্রিক শক লাঠি, স্টিলের লাঠি, বেত, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, সব কিছু নিয়ে সজ্জিত হয়ে এসেছিল। রাজীব কুমারের বাহিনী আর মনোজ কুমারের বাহিনী নেমেছিল ৩০ থেকে ৪০ হাজার আন্দোলনকারীর উপর।” তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এই অভিযানে নেমে আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। মাথা ফেটেছে অর্জুন সিংয়ের। আহত অশোক দিন্দাও।

