কলকাতা: নিজাম প্যালেসের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে সামনে রেখেই চার নেতার জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অতিমহামারির জেরে জারি হওয়া লকডাউন এবং ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে যেভাবে জমায়েত করা হয়েছিল, এবং যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চালানো হয়েছিল, তা বস্তুত কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। এই অবস্থায় নড়েচড়ে বসে বড় পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ। নিজাম প্যালসের বাইরে বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, শেক্সপিয়ার সরণি থানায় এই সুয়ামোটো মামলা দায়ের হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। হিংসা ছাড়ানোর পাশাপাশি অবৈধ জমায়েত-সহ একাধিক ধারায় গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ নম্বর ধারায় একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। এ বাদেও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। যার অর্থ পুলিশের কাজে বাধা দান করা হয়েছে। উদ্দেশ্য নিয়ে অপরাধ করা হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নারদকাণ্ডে শুনানি চলাকালীন বারংবার নিজাম প্যালেসের ঘটনার দিকেই আঙুল তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সেদিন যেভাবে নিজাম প্যালেসে বাইরে হামলা চালানো হয়েছিল তা দেশের কোথায় হয় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ফলস্বরূপ গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার দিকেও আঙুল উঠছিল। মহামারি আইন জারি থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিশের পক্ষ থেকে সদর্থক পদক্ষেপ করা হল না সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। চাপ বাড়তে থাকে প্রশাসনের উপর।
আরও পড়ুন: নারদ-কাণ্ডে বেআইনিভাবে গ্রেফতারি, সিবিআই-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তৃণমূল
এই অবস্থায় আজ প্রায় আড়াই ঘণ্টা শুনানি চলার পরও হাইকোর্টে জামিন পান না কোনও নেতা। নিজাম প্যালেসের বাইরের অভাবনীয় ঘটনাকে ঢাল করেই কার্যত রাজ্যকে বার বার আক্রমণ করেন সলিসিটর জেনারেল। তারপরই গোটা ঘটনায় সুয়ামোটো মামলা করে শেক্সপিয়ার সরণি থাকা। ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে বাকিদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্রে।
আরও পড়ুন: ৩ হেভিওয়েটের হাসপাতালে ভর্তির আদৌ প্রয়োজন আছে? এবার নিজস্ব মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল সিবিআই