‘AMRI-র আগুনে সিপিএমকে দায়ী করেছিলেন, ধূলাগড়ের কেসে সোশ্যাল মিডিয়াকে, আর এ বার…!’ টুইটে বিদ্ধ মমতা

Mar 09, 2021 | 4:19 PM

স্ট্র্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডের (Strand Road Fire)  ঘটনায় তপ্ত সামাজিক মাধ্যম। টুইট বাণে বিদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)

AMRI-র আগুনে সিপিএমকে দায়ী করেছিলেন, ধূলাগড়ের কেসে সোশ্যাল মিডিয়াকে, আর এ বার...! টুইটে বিদ্ধ মমতা
সোমবার ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী

Follow Us

কলকাতা: স্ট্র্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডের (Strand Road Fire)  ঘটনায় ইতিমধ্যেই ঘুরপথে রেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দমকল। তবে রাজ্যের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। টুইটে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) বিদ্ধ করেছেন তিনি।

স্ট্র্যান্ড রোডের ঘটনায় লিফটের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে দলকল কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব ছিল কিনা? বন্ধ লিফটের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে ঝলসে যাওয়া দেহগুলি। সোমবার স্ট্যান্ড রোডের ওই বহুতলে উদ্ধারকার্যের সময়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলার সময়ে তাঁর গলাও ধরে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করব না। তবে প্রাণগুলো চলে গেল…’ কিন্তু মঙ্গলবার সকাল হতেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হল কেন্দ্র-রাজ্য দড়ি টানাটানি। হেয়ার স্ট্রিট থানায় দমকল বহুতলের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ওই বহুতলের মালিক আসলে ভারতীয় রেল। অর্থাৎ ঘুরপথে মামলা রুজু হল রেলের বিরুদ্ধেই।

এদিকে আবার রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে টুইটে অমিত মালব্য লিখেছেন, “যখনই পশ্চিমবঙ্গে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু অপরকে দোষারোপ করেন। তিনি ২০১৬ সালে ব্রিজ দুর্ঘটনা এবং আমরি অগ্নিকাণ্ডের জন্য সিপিএমকে দায়ী করেছেন। ধূলাগড় দাঙ্গার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে এবং এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য মৃত্যুতে তিনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।”

পার্কস্ট্রিটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে অমিত লিখেছেন, “২০১০ সালের মার্চ মাসে পার্কস্ট্রিট অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অগ্নিনির্বাপক পরিকাঠামোর এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রটোকলকে দায়ী করেছিলেন বিরোধী থাকাকালীন। কিন্তু ১০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও কোনও উন্নতি ঘটেনি অগ্নি সুরক্ষা পরিস্থিতির। আরও একবার রাজ্যের উদাসীনতার বলি হলেন মানুষ।”

অমিতের আরও একটি টুইট। অমিত লিখেছেন. “পশ্চিমবঙ্গে একটি অতি সক্রিয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নীতি, স্থানীয় মানুষদের সহায়তা, পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাদি —এগুলি সুসজ্জিতভাবে করা দরকার। একটি স্বচ্ছ এবং সুদক্ষ নীতি এবং বহুতলগুলির অগ্নি ব্যবস্থাপনা শংসাপত্র দরকার । পিসি বাংলায় ব্যর্থ!”

এদিকে রেলের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘এটা রেলের জায়গা। কিন্তু, তাঁদের কেউ আসেননি। সুজিত আমাকে জানিয়েছে, বিল্ডিং-এর নকশা চাওয়া হয়েছিল। সেটা পেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হতো। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে সহযোগিতা মেলেনি।’’

রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠন করা হতে পারে সিট। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে ফরেনসিক দলও।

Next Article