জতুগৃহ কলকাতা! এর আগে কত বার কান্নায় ভেসেছে শহর, ঝলসে গিয়েছে শরীর?

Mar 09, 2021 | 3:17 PM

স্ট্যান্ড রোডের আগুনও (Strand Road Fire) যুক্ত হল সেই তালিকায়। গত কয়েক বছর বারবার বিধ্বংসী আগুনের সাক্ষী হয়েছে কলকাতা (Kolkata)।

জতুগৃহ কলকাতা! এর আগে কত বার কান্নায় ভেসেছে শহর, ঝলসে গিয়েছে শরীর?
ভয়াবহ আগুন রেলের অফিসে।

Follow Us

কলকাতা:  স্ট্যান্ড রোডে রেলের অফিসে বিধ্বংসী (Strand Road Fire) অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নিল তরতাজা নটা প্রাণ। বন্ধ লিফটকে যখন গ্রাস করেছিল লেলিহান শিখা, তখন বড্ড অসহায় ছিল শহর। লিফটের মধ্যেই ঝলসে গিয়েছে একের পর এক শরীর। স্ট্যান্ড রোডের ওই বহুতলে ঝলসে যাওয়া দলা পাকানো দেহগুলি দেখে শণাক্ত করাই দায় হয়ে উঠেছিল। গত কয়েক বছর বারবার বিধ্বংসী আগুনের সাক্ষী হয়েছে কলকাতা। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হয়েছে প্রাণহানিও। তবু সতর্ক হয়নি শহর।

এক নজরে আগুনে ইতিহাস

১১ জানুয়ারি ২০০৮
নন্দরাম মার্কেট
পুড়ে ছাই ৪০০০-এর বেশি দোকান
আগুন নেভাতে ১০০ ঘণ্টা পার

মার্চ ২০০৮
বাইপাসের পঞ্চান্নগ্রাম বস্তি
৬০০-র বেশি ঘর ভস্মীভূত

১২ জানুয়ারি ২০১০
উল্টোডাঙার বাসন্তী কলোনি
ভস্মীভূত বস্তির ৫০০ ঘর
মৃত ১

২৩ মার্চ ২০১০
পার্ক স্ট্রিটের স্টিফেন কোর্ট
মৃত ৪৩
আহত ২০

৯ ডিসেম্বর ২০১১
ঢাকুরিয়ার AMRI হাসপাতাল
মৃত ৯০

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
শিয়ালদহ সূর্য সেন মার্কেট
মৃত ২০
আহত ৫০

নন্দরাম মার্কেট
১২ জানুয়ারি ২০০৮।
বড়বাজার নন্দরাম মার্কেটে আগুন লাগে। টানা চার দিন ধরে আগুন জ্বলেছিল। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল প্রায় চার হাজার দোকান।

স্টিফেন কোর্ট
২০১০ সালে আগুন লাগে পার্ক স্ট্রিটের স্টিফেন কোর্টে। মৃত্যু হয় ৪৩ জনের, ঝাঁপ দিয়েও মৃত্যু অনেকের।

আমরি হাসপাতাল

২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর আগুন ঢাকুরিয়া আমরিতে। বিষ-ধোঁয়ায় মৃত্যু পঞ্চাশের বেশি রোগীর।

হাতিবাগান বাজার

২২ মার্চ ২০১২। হাতিবাগান বাজারে আগুন। সেদিন রাতে আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে। এক হাজার দোকানের একটা বড় অংশই পুড়ে ছাই।

সূর্য সেন মার্কেট

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। ভোরে আগুন শিয়ালদহের সূর্য সেন মার্কেটে ১৯ জনের মৃত্যু হয়। ঘিঞ্জি বাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকশো কোটি টাকার।

নিউ মার্কেট

১৮ মে ২০১৫। নিউ মার্কেটের পুরোনো অংশে আগুন লাগে। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

বাগরি মার্কেট

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮। মধ্যরাতে আগুন লাগে বাগরি মার্কেটে। প্রাণহানি না হলেও ক্ষতি হয় বহু কোটি টাকার।

আরও পড়ুন: ‘AMRI-র আগুনে সিপিএমকে দায়ী করেছিলেন, ধূলাগড়ের কেসে সোশ্যাল মিডিয়াকে, আর এ বার…!’ টুইটে বিদ্ধ মমতা

ফের অভিশপ্ত সেই দিন। ৮ মার্চ, ২০২০। স্ট্যান্ড রোডের আগুনে লিফটে আটকে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। মৃতদের মধ্যে রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থসারথি মণ্ডল, দমকলের চার কর্মী, পুলিশের এক অফিসার এবং আরপিএফ-এর এক জন রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এক জনকে শনাক্ত করা যায়নি। অভিযোগ উঠছে, ওই বহুতলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ঘটনায় কেএমসি-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, শহরের বুকে বারবার এই ধরনের ঘটনায় এখনও কেন সচেতনতার অভাব থাকছে?

 

Next Article