কলকাতা: নিজের কাজ করছিলেন আপন মনে। আচমকাই বিকট গন্ধ নাকে আসে তাঁর। এই গন্ধ যে শৌচালয়ের নয়, তা আগেই বুঝেছিলেন, আঁচ করছিলেন গন্ধটা চামড়া পোড়ার। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়েই শৌচালয় কর্মী দেখতে পান পাশের কারখানায় দাউ দাউ করে জ্বলছেন এক মহিলা। খিদিরপুরের (Khidirpur) ৬ নম্বর গোপান ডক্টর রোডে ভরদুপুরে ভয়ানক ঘটনা। মৃতের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে হোমিসাইড শাখা।
ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সুলভ কর্মী তুলসী রামের বয়ান অনুযায়ী, অনান্য দিনের মতো তিনি কাজ করছিলেন। একটা বিকট চামড়া পোড়ার গন্ধ নাকে আসে তাঁর। খোঁজ করতেই দেখতে পান, পাশের বন্ধ কারখানার ভিতরে এক মহিলা দাউ দাউ করে জ্বলছেন। তবে তিনি আর্তনাদ করছিলেন না। নিজেই ছুটে গিয়ে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে তুলসীর চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয়রাও ছুটে আসেন।
আগুন যতক্ষণে নেভানো সম্ভব হয়, ততক্ষণে মৃত্যু হয় মহিলার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিস। পরে পৌঁছন হোমিসাইড শাখার কর্তারা। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল ও দেশলাই। ঘটনাকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে।
প্রশ্ন এক, ওই মহিলার পরিচয় কী? দুই, মহিলা কি আত্মহত্যা করলেন নাকি কেউ তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়েছেন? তিন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রত্যেকেই আর্তচিৎকার করেন চামড়া পোড়ার জ্বালায়, কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলা কোনও চিৎকার করেননি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, তার মানে কি আগেই মৃত্যু হয়েছিল? চার, পরিত্যক্ত কারখানায় লোকজনের যাতায়াত কম। সেই ভেবে কেউ দেহ এসে এনে ফেলে পুড়িয়ে দিল কিনা, তাও প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনেই দিলেন বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দেখা করার কথা! কোন পথে রুদ্রনীল?
তবে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যেই এই ঘটনা কীভাবে সম্ভব? কারর নজরে কীভাবে পড়ল না? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।